বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশিদের একটা বড় অংশ চিকিৎসা এবং আরো নানা কারণে নিয়মিত ভারতে (india) যাতায়াত করে থাকেন। এখন ভারতে তা বন্ধ হওয়ায় তাদের অনেকেই সংকটে পড়েছেন। করোনাভাইরাস ঠেকাতে ভারত ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত এক মাসের জন্য বাংলাদেশসহ (Bangladesh) সব দেশের নাগরিকদের ভিসা দেয়া স্থগিত করে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ১২টি স্থলবন্দর দিয়ে বংলাদেশিদের ভারতে যাওয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। এর আগে বন্ধ করা হয় বিমানপথ।
ভেলোরের হাসপাতালে মেরুদণ্ডের জটিল অস্ত্রোপচারের জন্য সময়ও পেয়েছিলেন। কিন্তু ভিসা না পাওয়ায় আসতে পারছেন না জহিরুল ইসলাম। ভেলোরে বাবার হৃদরোগের চিকিত্সা করিয়েছেন পুরোনো ঢাকার বাসিন্দা রায়হান আহমেদ। এমাসেই বাবাকে নিয়ে ভারতে আসার কথা ছিল। ফলে সংকটে পড়েছেন রায়হান।
দেশের সবচেয়ে বড় স্থল বন্দর যশোরের বেনাপোল দিয়ে ভারতে বাংলাদেশিদের ভারতে যাওয়া বন্ধ করে দেয়া হয় শুক্রবার সন্ধ্যায়। প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশ কেন্দ্রের মহাসচিব তৌফিক রহমান বলেছেন, ”ভারতে বাংলাদেশের নাগরিকরা বেশি যান। তার বেশিরভাগটাই চিকিত্সার জন্য।”
ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসে চিকিত্সার জন্য ভিসার আবেদন করেছেন বাংলাদেশের নাগরিকরা। কিন্তু করোনাভাইরাসের জেরে সব আবেদনই ঝুলে রয়েছে বলে খবর। ভারতীয় দূতাবাসের এক কর্তা বাংলাদেশের সংবাদপত্রকে বলেছেন,”’এদেশের বেশিরভাগ নাগরিকরই ভারতে যান মেডিক্যাল ভিসায়। এখনই আমরা কাউকে ছাড়ছি না।”
১২টি স্থলবন্দর দিয়ে ওপার থেকে এপারে আসেন বাংলাদেশের নাগরিকরা। বিমানপথের মতো সেগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাউকে এপারে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে দুই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহণ সচল রয়েছে বলে খবর।