করোনা ভাইরাস (corona virus) নিয়ে সারা বিশ্বে যেন ত্রাহি ত্রাহি রব পড়েছে। আতঙ্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। সারা বিশ্বে যেন মহামারীর রুপ ধারণ করছে। এই ভাইরাস নিয়ে মাথাব্যথা কমছে না। চীনের পর ইরানে এই রোগ সর্বাধিক বিস্তার লাভ করেছে। বিশ্ব জুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুও হয়েছে বহু জনের।
সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি ভারতের (india) এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রামণে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের, আক্রান্তের সংখ্যা ১২৫ ছাড়িয়েছে।বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সিনেমা হল, পর্যটনকেন্দ্র। যেটা ভাইরাল জ্বর বা সাধারণ জ্বর (ফ্লু), অর্থাৎ ঋতু পরিবর্তনের জেরে হয়ে থাকে, সেটায় জ্বরের সঙ্গে সর্দি, নাক বন্ধ, গলা খুশখুশ হয়। কিন্তু করোনাতে নাক বন্ধ কিংবা সর্দির লক্ষ্মণ দেখা যায় ন। এই ভাইরাস সোজা শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে, তাই শুকনো কাশির সঙ্গে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর শরীরকে দুর্বল করে তোলে। আর এই অবস্থায় রোগীদের সচেতন থাকা দরকার। সরাসরি যোগাযোগ না করা হলেও COVID-19 ছড়িয়ে যেতে পারে । করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তি সরাসরি কোনও পৃষ্ঠের উপরে কাশি বা হাঁচি দেয় সেই থেকে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। আর আমাদের এর জন্য জানা দরকার এই জীবানু ক্কতটা ঝুকি বাড়ায় এবং তার থেকেও বড় ব্যপার এই ঝুঁকি কতটা বড় তা বিশ্লেষণ করতে, আমাদের জানতে হবে ভাইরাসটি কতক্ষণ ধরে ভূপৃষ্ঠে টিকে থাকতে পারে।
জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটস, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লস অ্যাঞ্জেলেসের সাম্প্রতিক গবেষণা আমাদের এটি বুঝতে সাহায্য করে। গবেষণা অনুসারে, করোনাভাইরাস চার ঘন্টা অবধি তামার উপরিভাগে স্থির থাকতে পারে। আর স্টেনলেস স্টিলের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস ২ থেকে তিন দিন বেঁচে থাকে। এর মূল অর্থ এই ভাইরাসটি অ-ছিদ্রহীন জায়গায় বেশি দিন বেঁচে থাকতে পারে।