ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপের পর এবার হ্যাকারদের নতুন অস্ত্র হয়ে উঠেছে করোনা ভাইরাস। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, আপনার ফোনের তথ্য চুরি করার জন্য হ্যাকাররা বর্তমানে সবথেকে বেশি ব্যবহার করছে করোনা ভাইরাসকে। এক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসকে নিয়ে মানুষের উদ্বেগকে কাজে লাগিয়ে নতুন ডেটা চুরির পথ আবিষ্কার করেছে হ্যাকাররা।
কিভাবে ছড়ানো হচ্ছে ভাইরাসের খবর-
এখানে বিভিন্ন লোকের ফোনে করোনা ভাইরাসের বিভিন্ন খবর লিংক সহ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেই লিঙ্কে থাকছে বিভিন্ন মালেশিয়াস কোড। এই ভাইরাস সম্পর্কে জানতে যখনই আপনি ওই লিংকে ক্লিক করছেন তখনই আপনি পড়ে যাচ্ছেন বিপদে। লিংকে ক্লিক করার সাথে সাথেই আপনার ফোনের বা কম্পিউটারের সম্পূর্ণ অ্যাকসেস ওই হ্যাকারের কাছে চলে যাচ্ছে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে এই কাজের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে PDF ও MP4 ফাইল ফরম্যাট। ওই লিংকের নিচে থাকা ফাইল ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করলেই আপনার ফোনে চলে আসছে ভাইরাস এবং সাথে সাথেই আপনার কম্পিউটারের সম্পূর্ণ অ্যাক্সেস হ্যাকারের কাছে চলে যাচ্ছে।
হ্যাকাররা আপনার সিকিউরিটি বাইপাস করতে পারে-
ইতিমধ্যেই ফেসবুক টুইটার গুগল থেকে এই জাতীয় সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে বেশ কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবুও তা যথেষ্ট নয়, কারণ হ্যাকাররা সহজেই এই সিকিউরিটি বাইপাস করতে পারে। জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানি Kaspersky এর মালওয়্যার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আমরা এখনো পর্যন্ত ১০টি ফাইল পেয়েছি যেগুলি ব্যবহারকারীদের জন্য বিপদজনক হতে পারে।
কিভাবে বাঁচবেন-
এই ধরনের ক্ষতিকারক লিঙ্কগুলিকে সনাক্ত করার সবথেকে সহজ উপায় হল ওই অ্যাড্রেস লিঙ্কের শেষের এক্সটেনশনটি দেখে নেওয়া। সাধারণত .docx, .lnk এবং .mp4 এক্সটেনশনযুক্ত ফাইলগুলি ভাইরাসপূর্ণ হতে পারে। তবে অন্যান্য জনপ্রিয় ফাইল এক্সটেনশন যেমন .exe, .lnk এক্সটেনশনযুক্ত ফাইলগুলি ডাউনলোড করার আগেও দেখে নেওয়া উচিত ভালো করে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এখন করোনা ভাইরাস নামটির সঙ্গে প্রায় সকলেই পরিচিত। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের কারণে ২১৩ জন মারা গেছেন এবং প্রায় ১০০০০ জন মানুষ এখনো আক্রান্ত। সবথেকে দুঃখের বিষয় হলো এই যে, এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক এখনও অবধি আবিষ্কার হয়নি।