বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শিলিগুড়ি (Shiliguri) জেলা হাসপাতলের তরফে মৃত ঘোষণা করা ২৩ বছর বয়সী এক যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখতেই সামনে আসল চরম অব্যবস্থাকর ঘটনা। পরের দিন মৃতের আত্মীয় পরিজনরা দেহ নিতে এসে দেখে নাক আর হাতের কড়ে আঙুল খুবলে খেয়েছে ইঁদুর। এমনই নির্মম অব্যবস্থাকর পরিষেবার অভিযোগ ওঠে হাসপাতালে কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
মৃতের এমন অবস্থা দেখে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে মৃতের আত্মীয়স্বজনরা। পাশাপাশি তারা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগও দায়ের করে। তবে হাসপাতালের (Shiliguri District Hospital) সুপারের দাবি, বেশকিছুদিন ধরে মর্গের ফ্রিজটি খারাপ হয়ে যাওয়ার এই সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত তা মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোও হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বছর ২৩ এর ওই যুবক পাপাই মল্লিক আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ার বাসিন্দা। তবে কাজের সূত্রে শিলিগুড়ি প্রধাননগর এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বেসরকারি কোম্পানিতে এসি মেশিন সারাইয়ের কাজ করতেন তিনি। বুধবার সাতসকালেই তাকে অকস্মাৎ সিলিং থেকে ঝুলতে দেখে পরিবারের লোকজন। তৎক্ষণাৎ তাকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তারপরই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হলে এহেন চরম অব্যবস্থাকর পরিষেবার ঘটনা সামনে আসে।
হাসপাতালের তরফে অভিযোগ স্বীকার করে জানান হয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে মর্গের ফ্রিজ খারাপ হয়ে আছে। ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হলেও মেরামত হয়নি। যার ফলেই দেহ সংরক্ষণে অসুবিধা হচ্ছে। ইঁদুরের উপদ্রব বাড়ার পাশাপাশি মর্গে থাকা বাকি দেহ গুলিতেও পচন ধরছে।ইতিমধ্যেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশকে ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন হাসপাতালের সুপার।