বাংলা হান্ট ডেস্ক : শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ এমনিতেই বিপাকে বাংলার শাসক দল। বড় বড় মাথারা গ্রেফতার হয়েছেন। এর মধ্যেই একটি কলেজ সংক্রান্ত তহবিল নয়ছয়ের অভিযোগে কলকাতার দুই নেতাকে শাস্তি দিল সিপিএম (CPM)। বুধবার সিপিএমের দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক শেষ হয়েছে। তাতে টালিগঞ্জ ১ নম্বর এরিয়া কমিটির সম্পাদক গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় (Gautam Banerjee) এবং বেহালা পূর্বের পার্টি সদস্য তথা সাক্ষরতা আন্দোলনের নেতা পার্থ দাসকে (Partha Das) ৬ মাসের জন্য নির্বাসন (Suspend) দিন আলিমুদ্দিন।
টালিগঞ্জে ক্যালকাটা ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট কলেজের পরিচালন সমিতির মাথায় বসেই এই দুই নেতা আর্থিক তছরুপ করেছেন। গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে সেই কলেজের পরিচালন সমিতির সম্পাদক পদে রয়েছেন। পার্থ দাস আগে ছিলেন সম্পাদক।
অর্থ তছরুপের ব্যাপারে অভিযোগ জমা পড়ে সিপিএম রাজ্য কমিটিতে। তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য ও রাজ্য কমিটির সদস্য মেঘলাল শেঠকে নিয়ে একটি কমিশন তৈরি হয়। সেই কমিশন গত কয়েক মাস ধরে সাক্ষ্য গ্রহণ করে। তারপর রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে। সিপিএমের তরফ থেকে গৌতম ও পার্থকে ছ’মাস নির্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট দেখে একাধিক রাজ্য কমিটির সদস্য দাবি তোলেন, গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থ দাসকে পার্টি থেকে দল থেকে তাড়াতে হবে। যাঁরা এই দুই নেতাকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন তাঁদের মধ্যে জলপাইগুড়ির জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য, নদিয়ার রমা বিশ্বাস, হাওড়ার পরেশ পাল, উত্তর ২৪ পরগনার ট্রেড ইউনিয়ন নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায়।
গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘সাসপেনশনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আপনি কে, যে আপনাকে এসব বলতে যাব? ছাড়ুন তো!’ বলেই ফোন কেটে দেন। পার্থ দাস প্রথমে ফোন তোলেননি। পরে নিজেই ফোন করেন। পার্থবাবুও বলেন, তিনি সাসপেনশনের বিষয়ে কিছুই জানেন না। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তদন্ত কমিশনে কতবার হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি? পার্থবাবু বলেন, ‘এই নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।’