বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলার (West bengal) তৃণমূল কংগ্রেস (All India Trinamool Congress), আসন্ন নির্বাচনে নিজেদের জায়গা অক্ষুণ্ণ রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই রাজ্যের এই দুর্দশার পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন, দুর্নীতিগ্রস্থদের দলে কোন জায়গাই হবে না। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে দুর্নীতিগ্রস্থদের তল্লাশি।
কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেড়িয়ে পড়ছে কেউটে
বিরোধীদের বারংবার অভিযোগের ভিত্তিতে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে পড়ছে। এক এক করে সব দুর্নীতিগ্রস্থদের পর্দা ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি আমফান দুর্নীতির অভিযোগেই হাওড়ার তিন তৃণমূল নেতৃত্বকে দল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে এবার এই ঘটনার মুখোমুখি হতে চলেছে মালদা জেলার তৃণমূলবাহিনী।
তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ
টাকা জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। খোদ বিডিওর সই জাল করে নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকার অবৈধ টেন্ডার করার অভিযোগ উঠে এল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রঞ্জিতা হালদারের বিরুদ্ধে। মদনাবতী গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের ভিত্তিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সর্বত্রই।
টানা হচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্ধের জের
টাকা জালিয়াতির ঘটনায় সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ। তারা দাবী করছেন, গোষ্ঠীদ্বন্ধের জেরে এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে। তবে সমস্ত অভিযোগকে নস্মাত করে দিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান রঞ্জিতা হালদার জানিয়েছেন, সবকিছু নিয়ম মেনেই করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে ইচ্ছে করে গোষ্ঠীদ্বন্ধের জেরে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে।
ঘটনার তদন্ত চলছে
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু বলেছেন, ‘তৃণমূলের সংস্কৃতিই হল এইরকম। এইসব কাজ তৃণমূলের পক্ষেই সম্ভব’। দল মধ্যস্থ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে পড়ে গেছেন তৃণমূলের বাকী নেতৃত্বরা। তৃণমূলের মালদা জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবপ্রিয় শাহ এবিষয়ে বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের দল থেকে বহিস্কার করা হবে। বামন গোলা ব্লকের বিডিও সমস্ত ঘটনার তদন্তে নেমেছে।