বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউনের (Lockdown) মধ্যেই শহরের দুই দোকানে রেশনের চাল নিয়ে গাফিলতি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লকডাউনের সময়ে গরীব মানুষদের মুখের অন্ন ছিনিয়ে নিয়ে, তা চড়া দামে বিক্রির অভিযোগ করে কিছু মানুষ। সেই কারণে শুক্রবার শহরের দুই দোকানে হানা দিল ইবি।
করোনা সংক্রমণের মধ্যে লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে সমাজের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষেরা। খাদ্যাভাবে পড়েছে বহু মানুষ। সমাজের সেই সব মানুষদের কথা চিন্তা করে সরকার পক্ষ থেকে ২ টাকা কেজি দররে চাল বিনামূল্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সেই চাল নাগরিকদের বিনামূল্যে না দিয়ে কালোবাজারি করছে কিছু দোকানদার এমনটা অভিযোগ উঠেছিল। এবার তা খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমে পড়ল ইবি।
এন্টালি মার্কেট এবং মুচিপাড়ার দুই দোকানের এই ঘটনা ঘটছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। শুক্রবার তা খতিয়ে দেখতে সেই দোকানে যায় ইবি। অভিযোগ উঠেছিল এন্টালি মার্কেটের এক ব্যাবসায়ী ত্রিলোকী রায় রেশনের চাল বিনামূল্যে না দিয়ে প্রতি কেজি ৩৮ টাকা দামে বিক্রি করছেন। এই সংবাদ পেয়ে ইবি-র অফিসাররা সেখানে গিয়ে দীর্ঘসময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এবং পরবর্তীতে তার একটি গুদাম ঘর থেকে ৫০ কেজির ১৩টি বস্তা ভর্তি চাল এবং ৩টি ফাঁকা বস্তা পাওয়া যায়। অপরদিকে, মুচিবাজারেও অখিলেশ সাউ এন্ড ব্রাদার্সের মালিক অখিলেশ সাউ-এর দোকান থেকেও ৫০ কেজির ৭টি চালের বস্তা উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া এই বস্তাগুলো কিভাবে তাঁদের দোকানে এল, তাঁর সঠিক উত্তর দিতে না পারায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ আরও জানায়, লকডাউনের বাজারে শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে এই ধরণের কালোবাজারির খবর আগেও পেয়েছেন তারা। সংকটের সময়ের সুযোগ নিয়ে কিছু অসৎ ব্যবসায়ীরা এই ধরণের আচরন করছে বলে অভিযোগ আসছে। তাঁদের নজরে রাখছে কলকাতা পুলিশ।