বাংলা হান্ট ডেস্ক: শিশুদের কাছে কটন ক্যান্ডি (Cotton Candy) খুব পছন্দের একটি বিষয়। তবে, কটন ক্যান্ডি যে শুধুমাত্র শিশুদের আকৃষ্ট করে এমনটা কিন্তু নয়। বরং, আট থেকে আশি সকলেই এটির প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন। গ্রামাঞ্চলের মেলা হোক কিংবা শহরাঞ্চলের কোনো অনুষ্ঠান সব জায়গাতেই কমবেশি দেখা মেলে এটির। তবে, কটন ক্যান্ডির একটি প্রচলিত নামও রয়েছে। সেটি হল “বুড়ির চুল”। কিন্তু, এবার এই কটন ক্যান্ডর বিষয়েই সামনে এল অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য। যেটি সম্পর্কে জানার পর অবাক হবেন প্রত্যেকেই।
ইতিমধ্যেই দেশের কিছু অংশে গোলাপি রঙের এই মিষ্টি স্বাদের কটন ক্যান্ডিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত সপ্তাহে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ু এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ল্যাবের পরীক্ষায় কটন ক্যান্ডির নমুনায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থ রোডামাইন-বি-র উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেছে। এদিকে, চলতি মাসের শুরুতে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতেও এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলি এর নমুনা পরীক্ষা শুরু করেছে।
কি জানা গিয়েছে: এই বিষয়ে অভিজ্ঞ আধিকারিকদের মতে, কটন ক্যান্ডি অত্যন্ত ক্ষতিকারক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের ফুড সেফটি অফিসার পি সতীশ কুমার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন যে, কটন ক্যান্ডিতে থাকা দূষিত পদার্থ থেকে “ক্যান্সার হতে পারে এবং তা শরীরের সমস্ত অঙ্গকে প্রভাবিত করতে পারে”। সম্প্রতি তাঁর দল গত সপ্তাহে ওই শহরের একটি সমুদ্র সৈকতে মিষ্টি বিক্রেতাদের কাছে অভিযান চালায়। তারপরই দেখা যায় যে, সেখানে এগুলি কোনো রেজিস্টার্ড কারখানায় তৈরি করা হয় না।
কয়েকদিন পর, ল্যাব পরীক্ষায় নমুনায় রাসায়নিক যৌগ রোডামাইন-বি-এর উপস্থিতি শনাক্ত করার পর সরকার এর বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। উল্লেখ্য যে, এই রাসায়নিকটি একটি ফ্লুরোসেন্ট গোলাপি আভা দেয় এবং টেক্সটাইল, প্রসাধনী এবং কালিতে ব্যবহৃত হয়।পাশাপাশি, গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই রাসায়নিকটি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এমতাবস্থায়, ইউরোপ এবং ক্যালিফোর্নিয়া খাদ্য রঞ্জক হিসেবে এর ব্যবহারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে।
পাশাপাশি, তামিলনাড়ুতে কটন ক্যান্ডি নিষিদ্ধ করার সময়ে সেখানকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা সুব্রামানিয়ান একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এদিকে, তামিলনাড়ুর পর প্রতিবেশী রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশও কার্সিনোজেনের উপস্থিতি পরীক্ষা করার জন্য কটন ক্যান্ডির নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে এবং এই সপ্তাহের শুরুতে, নিউ ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস সংবাদপত্র জানিয়েছে যে, দিল্লিতে খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিকরাও কটন ক্যান্ডি নিষিদ্ধ করার জন্য জোর দিচ্ছেন।