বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্ব পূর্ণ হাতিয়ার হল মাস্ক (Mask)। তবে এই রোগের প্রাদুর্ভাবের সাথে সাথে বাজার থেকে মাস্কের সংখ্যা অনেক কমে যায়। আকাল দেখা দেয় মাস্কের ক্ষেত্রে। যার ফলে প্রচুর মানুষ উন্নত মাস্ক ব্যবহার না করতে পেরে কাপড়ের তৈরি মাস্কই ব্যবহার কতে শুরু করে দিয়েছিল। এবার এক সমীক্ষা বলছে, শিফন বা সিল্কের তৈরি সুতির কাপড়ের মাস্ক করোনা সংক্রমণে বেশি কাজ দায়ক।
চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়লেও, চীনের কিন্তু খুব একটা ক্ষতি হয়নি। এই মহামারির ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলো অর্থাৎ, ইতালি, স্পেন, জার্মানী এবং আমেরিকা। এই রোগের প্রাদুর্ভাবের প্রথমদিকে মাস্কের সমস্যায় ভুগতে হয়েছিল মানুষজনকে। সার্জিক্যাল মাস্ক এবং N95 মাস্ক -এর সংকট দেখা দিয়েছিল। তখন মানুষজন মাস্কের আশা ছেড়ে দিয়ে বাড়িতেই কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহার করতে শুরু করে দেয়।
নিজেদের হাতে বানিয়ে বিভিন্ন রকম মাস্ক ব্যবহার শুরু হয়। সুতির কাপড় বা প্রাকৃতিক রেশমের সাথে মিশ্রিত করে বা তুলা কাপড়ের সাথে শিফন কাপড় মিশিয়ে মাস্ক বানাতে শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ধীরে ধীরে এই ঘরে বানানো মাস্কের উপর সমীক্ষা চালায়। তারা সমীক্ষা চালিয়ে জানতে পারেন যে, এই ঘরে তৈরি মাস্ক বাতাসের শক্ত কণাগুলি ব্যক্তির সংস্পর্শে আসতে দেয় না। যা অনেকটাই সার্জিক্যাল মাস্ক এবং N95 মাস্ক-এর মতই কাজ করছে। তাই এই মাস্কগুলো ব্যবহারে ভয়ের কোন কারণ নেই।
করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি এবং সংস্পর্শের মাধ্যমে এই রোগ ছড়িয়ে পরে, যা সহজেই অন্য মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই এই ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার অত্যন্ত জরুরী। তবে এই কাপড়ের তৈরি মাস্কেও ‘এসিএস ন্যানো’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় গবেষকরা বাতাসের তরল কণাকে একই কাপড় দিয়ে বা বিভিন্ন ধরণের কাপড় দিয়ে ফিল্টার করে দেখেছিলেন, যে এক টুকরো সুতির কাপড়ের ভাঁজের দ্বারা ৮০-৯৯ শতাংশ এবং শিফনের দুই ভাঁজ দ্বারা তরল কণা বাইরে থামানো যেতে পারে। তাই ঘরে বানানো কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতভাবে করা যাবে।