বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আলটপকা মন্তব্যের জন্যে এর আগেও বিতর্কে জড়াতে হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। নির্বাচনের আগেও তার বেশ কিছু মন্তব্য ঘিরে যথেষ্ট সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য বিজেপিকে। রবিবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে জল বিধ্বস্ত খড়গপুরের এলাকা খতিয়ে দেখতে যান তিনি। সেখান থেকে ২ নম্বর ওয়ার্ডে এক অসুস্থ বিজেপি কর্মীকে দেখতে গিয়েই বিপত্তি। একেবারে জনরোষের সামনাসামনি পড়েন দীলিপবাবু।
তাকে কাছে পেয়েই অনেকে অভিযোগ জানান কোন কাজ করছেন না এলাকার কাউন্সিলর। আর এতেই ভয়ঙ্কর রেগে উঠেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পরিষ্কার বলেন ‘‘ওর বাড়িতে গিয়ে ‘…’ (চলতি ভাষায় মলত্যাগ) দিয়ে আসুন। যাতে বেরোতে না পারে।’’ শুধু তাই নয় তিনি বলেন, “ওঁকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখুন। বাড়ির সামনে নোংরা ফেলে আসুন। সবকিছু কি দিলীপ ঘোষ করে দেবে! টাকাও দেব, আবার অভিযোগও শুনতে হবে!”
এই ঘটনায় তখন বিজেপির তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অনেকেই বলেছিলেন তিনি মাটির মানুষ, সহজ কথ্য ভাষা ব্যবহার করেছেন। কোন অশ্লীল কথা বলেননি। কিন্তু এবার নতুন করে মোড় নিল এই ঘটনা। এলাকার যে কাউন্সিলরের উদ্দেশ্যে এই মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তিনি শুকরাজ কৌর। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি তুলেছিলেন তাকে নাকি মোটেই দেখা যায়না এলাকায়। সেই সূত্র ধরেই এই কথা বলেছিলেন দিলীপবাবু।
কিন্তু এবার এর চরম প্রতিক্রিয়া দিলেন ওই কাউন্সিলরের স্বামী তথা পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সহ-সভাপতি সুখবীর সিং অটওয়াল। তার দাবি দিলীপবাবু তার স্ত্রীকে বেঁধে পেটানোর কথা বলেছেন। তার আগে ঘটনার কথা তাদের জিজ্ঞাসা করা যেতে পারত। তিনি আরও বলেন, “আমরা বিজেপি, মহিলাদের সম্মান দিই। রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ হয়ে একজন মহিলার বিরুদ্ধে এত নোংরা কথা ওঁর মুখে শোভা পায় না। আমি চাই, আমার স্ত্রীর কাছে দিলীপবাবু ক্ষমা চান। যদি ক্ষমা না চান, তাহলে আমরা চিন্তাভাবনা করব।” চিন্তাভাবনার মধ্যে যে প্রচ্ছন্নভাবে রয়েছে বিজেপি ছাড়া হুমকি তা বলাই বাহুল্য।