বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে শুরু হল ২০২১-এর বিধানসভা কেন্দ্রে গণনা। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট খুলে গণনা শুরু হয়েছে। প্রথমে ২৫০টি কেন্দ্রের পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। ওই ২৫০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২৫টিতে এগিয়ে তৃণমূল, ১২০টিতে এগিয়ে বিজেপি। সংযুক্ত মোর্চা ২টি আসনে এগিয়ে আর অন্যান্যরা ৩ আসনে এগিয়ে।
যাদবপুর কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী এগিয়ে রয়েছে। রাজারহাট-গোপালপুর কেন্দ্র এবং রাসবিহারিতেও এগিয়ে রয়েছে বিজেপির প্রার্থী। নন্দীগ্রামে এগিয়ে বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। ৩৭০০ ভোটে এগিয়ে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয়, বৈশালী ডালমিয়া এগিয়ে রয়েছেন। পিছিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মনোজ তিওয়ারি, অরুপ বিশ্বাস। ভবানীপুরে এগিয়ে বিজেপির প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। অনুব্রত গড় বীরভূমে ১১ আসনের মধ্যে ৭ আসনে এগিয়ে বিজেপি। প্রথম দফার গণনায় তৃণমূলের মোট প্রাপ্ত ভোটের হার ৫৩ শতাংশ, বিজেপির ৩৪ শতাংশ এবং সংযুক্ত মোর্চার ৭ শতাংশ।
আরেকদিকে, এবারও প্রথা ভাঙবেন না তৃণমূল নেত্রী, গত দু’বারের মতই এবারও কালীঘাটের বাড়িতে বসেই গণনার দিকে নজর রাখবেন তিনি। একদিন আগে দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বার্তায় জয়ের বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি গণনা কেন্দ্রে যাওয়া দলীয় কর্মীদের জন্যও জারি করেছিলেন সাবধানি বার্তা। তিনি বলেছিলেন, কেউ কিছু দিলে খাবেন না। প্রথমের দিকে পিছিয়ে থাকলেও আমরাই জিতব। তাই গণনা কেন্দ্র ছেড়ে যাবেন না।
২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের গণনার দিন নিজের কালীঘাটের বাড়িতেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেবার সকাল ১১টার আগে ঘর থেকে বের হননি তিনি। ২০১৬ সালেও দেখা গিয়েছিল একই চিত্র। সেবারও তিনি কালীঘাটের বাড়িতে বসেই গণনার দিকে নজর রেখেছিলেন। আর এবারও তিনি কালীঘাটের বাড়ি থেকেই গণনার দিকে নজর রাখবেন।