‘এই বয়সে এসে…’! সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেয়নি স্বাস্থ্যভবন! দম্পতিকে কী বলল হাইকোর্ট?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্তানের মুখ দেখার আশা কমবেশি প্রত্যেকেরই থাকে। সেই আশা নিয়েই টেস্ট টিউব বেবি তথা আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নিতে চেয়েছিলেন এক দম্পতি। তবে সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় স্বামীর বয়স। বয়স বেশি হওয়ার কারণে স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে অনুমতি না মেলায় সোজা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন ওই দম্পতি। তাঁদের আর্জি, উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতে অনুমতি প্রদান করুক আদালত।

  • কী বলছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?

মামলাকারী দম্পতির বাড়ি কলকাতার কাশীপুর। ১৯৯৪ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন দু’জনে। দম্পতির কথায়, তিন দশকের বৈবাহিক জীবনে তাঁদের কোনও সন্তান হয়নি। এবার আইভিএফ (IVF) পদ্ধতিতে সন্তানের মুখ দেখতে চান তাঁরা। তবে বয়স সংক্রান্ত নিয়মের কারণে স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে অনুমতি মিলছে না।

মঙ্গলবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়েছে। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ বিষয়টি বিবেচনা করার পর আগামী শুক্রবার নির্দেশ দিতে পারেন। একইসঙ্গে এদিনের শুনানিতে কাশীপুর নিবাসী ওই দম্পতিকে জাস্টিস সিনহা প্রশ্ন করেন, ‘এই বয়সে এসে সন্তানের দায়িত্ব নিতে পারবেন তো? একটি সন্তানকে মানুষ করার জন্য প্রস্তুতি কি আছে?’

আরও পড়ুনঃ ২০২৫ সালের শুরুতেই…! DA নিয়ে বড় খবর! জোড়া ‘গুড নিউজ’ পাবেন বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীরা?

মামলাকারী দম্পতির আইনজীবী অচিন জানা বলেন, তাঁর মক্কেল অর্থনৈতিকভাবে সমর্থ। সন্তান মানুষ করার বিষয়ে যা যথেষ্ট। এছাড়া এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে পুরুষের বয়স বেশি হলেও কোনও অসুবিধা হবে না।

Calcutta High Court

জানা যাচ্ছে, গত বছর ডিসেম্বর মাসে একটি ক্লিনিকে আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন ওই দম্পতি। তবে চলতি বছর জুন মাসে জানানো হয়, নিয়ম অনুসারে স্বামীর যে বয়স থাকার কথা, তার তুলনায় ওই ব্যক্তির বয়স বেশি। তাই স্বাস্থ্য ভবনের (Swasthya Bhaban) থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে হবে। এদিকে নিয়ম বলছে, অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাক্টিভ টেকনোলজির ক্ষেত্রে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের নির্ধারিত বয়সসীমা ২১ থেকে ৫৫ বছর এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৫০ বছর।

আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো কাশীপুর নিবাসী ওই দম্পতির ক্ষেত্রে স্বামীর বয়স ৫৮ বছর। অর্থাৎ নির্ধারিত সর্বোচ্চ বয়সসীমার থেকে ৩ বছর বেশি। যে কারণে স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরপর তাই হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন তাঁরা। আগামী শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেদিন নির্দেশ দিতে পারেন জাস্টিস সিনহা।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর