বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় একটি প্রবাদ রয়েছে, “অতি চালাকের গলায় দড়ি” আর সেই প্রবাদটি সত্যি হতে দেখা গেল সুদূর ব্যাঙ্গালোর শহরে। ঘটনাটি এমনই আশ্চর্যজনক যে ইহা সম্পর্কে জানতে পারলে আপনার চোখ কপালে উঠবে। ঘটনাটির প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ব্যাঙ্গালোরের এক ব্যক্তি এবং আদালতে করা তার বিশেষ মামলা। কি এমন ঘটনা ঘটলো যে ব্যক্তিটি আদালতে মামলা করতে বাধ্য হলেন?
জানা যায়, মূর্তি নামের ওই ব্যক্তিটি 2021 সালে ব্যাঙ্গালোরের একটি হোটেলে খাবার খেতে যান এবং খাওয়া সম্পন্ন হওয়ার পর রেস্টুরেন্টের তরফ থেকে যখন বিল দিতে আসা হয় তখন বিলে 264.60 টাকা লেখা থাকলেও ওই ব্যক্তির কাছ থেকে 265 টাকা চাওয়া হয় এবং এর পরেই বাঁধে উত্তেজনা। ব্যক্তিটি সেই সময় 40 পয়সা কেন তাকে অতিরিক্ত দিতে হবে সেই ব্যাপারে বিরোধ জানান। তবে সেখানকার কর্মচারী এবং কর্তৃপক্ষ কেউই তার কথায় কর্ণপাত করেনি ফলে স্বভাবতই মর্মাহত হয়ে পড়ে মূর্তি নামের ব্যক্তি। এবং তিনি কোর্টে যাওয়ার হুমকিও দেন।
এরপর দেখা যায় তিনি শুধু হুমকি দিয়ে থেমে থাকেননি বরং সত্যিকারেরই মাত্র 40 পয়সার জন্য উপভোক্তা কোর্টে মামলা করে বসেন এবং তিনি নিজের কেস নিজেই লড়েন এবং রেস্টুরেন্ট এর কাছে 50 লক্ষ টাকার জরিমানা চান বলে সূত্রের খবর। এরপর কোর্টে কেস চলতে থাকে এবং রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ নিজেদের বক্তব্য পেশ করে আদালতে। প্রায় আট মাস লম্বা চলা এই কেসের শেষে আদালত জানায় যে 50 পয়সা কম পর্যন্ত উপেক্ষা করা যায় ফলে 40 পয়সার জন্য কেস করা ব্যক্তির ওপর আদালত প্রচন্ড পরিমাণে বিরক্তি প্রকাশ করে। উল্টে সেই ব্যক্তিটিকেই রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে 4000 টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
আদালত এর মতে, মামলাকারীর করা মামলাটি অত্যন্ত বিরক্তিকর এবং আদালতের সময় নষ্ট করেছে। ফলে রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে 40 পয়সা বেশি নেওয়ার অভিযোগ করে নিজের 4000 টাকা ক্ষতির মাধ্যমে যে বাংলার জনপ্রিয় প্রবাদটি প্রমাণ করলেন মূর্তি নামের ব্যক্তি তা বলা যায়।