বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যে ঘটে যাওয়া একাধিক ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা। এবার পুলিশের বিরুদ্ধে উঠল আরও এক গুরুতর অভিযোগ। খুনের মামলায় বেআইনিভাবে গ্রেফতার করার অভিযোগে জোর-বিপাকে গোবরডাঙা সহ দুই থানার ওসি। ইতিমধ্যেই ওই দুই ওসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বনগাঁ আদালতের (Court) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক ২ প্রদীপকুমার অধিকারী। একই সাথে তাদের জরিমানা বাবদ ২০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের (Court) নির্দেশে বেআইনি গ্রেপ্তারির অভিযোগে তদন্ত হবে ২ ওসির বিরুদ্ধে
ঘটনার সূত্রপাত হয়, গত বছরের এপ্রিল মাসে। আদালত (Court) সূত্রে খবর, প্রায় এক বছর আগে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল রাখালদাস হাই স্কুলের শিক্ষক মসিউর রহমানকে। বাদুড়িয়া থানার অন্তর্গত দক্ষিণ চাতরার বাসিন্দা মিজানুরের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছিল গাইঘাটার জামদানি-মধুসূদনকাটি রোডের পাশ থেকে। দাদার খুনের ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় মসিউর।
আদালত (Court) সূত্রে খবর গ্রেপ্তারির পর মসিউরকে পুলিশ বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠায়। বিচারাধীন সেই মামলায় অভিযুক্তের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, বেআইনিভাবে এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মক্কেলকে। দাবি করা হয় এক্ষেত্রে গ্রেপ্তারি সংক্রান্ত যে ফৌজদারি আইন বা সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন আছে সেগুলির একটাও মানা হয়নি।
অভিযুক্তর আইনজীবী জনিয়েছেন ওই খুনের মামলার রায়ে বিচারক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন একজন নির্দোষ ব্যক্তিকে ধরে অত্যাচার করা হয়েছে। এছাড়া তার গ্রেপ্তারির সময় ফৌজদারি আইন বা সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মানা হয়নি বলেও জানানো হয়েছে। এছাড়াও পুলিশ লকআপে অত্যাচারের অভিযোগও বিবেচনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মহিলারা ধর্ষণ করতে পারেন না! বিরাট পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের
দীর্ঘ দিন জেলে থাকার পর আজ এই মামলায় ওই ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। একইসাথে সেদিনের থানার সিসিটিভি ফুটেজ এবং জিডি খাতা আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এই মামলায় দুই ওসি ছাড়াও রাজ্য সরকারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে অভিযুক্তের আইনজীবী বলেছেন,’চাইলেই যা খুশি তাই করা যায় না এটা পুলিশের মাথায় রাখা উচিত। আমার মক্কেলের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে। আইন মেনে কাজ করতে হবে পুলিশকেও। বিচার ব্যবস্থাই শেষ কথা বলবে।’ আদালতে এদিন এই অভিযোগ উঠতেই বারাসত ও বনগাঁ পুলিশ জেলার গোবরডাঙা ও গাইঘাটা থানার পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসাথে জরিমানা বাবদ ২০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।