বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশের ৪৯ বুদ্ধিজীবী গণপিটুনি ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু ঘটনাচক্রে তাঁদের বিরুদ্ধেই ‘দেশদ্রোহিতার’ অভিযোগে মামলা করা হল বিহার আদালতে। আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা অভিযোগ জানান, ঐ সমস্ত বুদ্ধিজীবীরা ইচ্ছাপূর্ণ ভাবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটানো এবং দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বারবার চেষ্টা করছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, দেশের অখণ্ডতা ক্ষুন্ন করা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা করা হয়। শুধু তাই নয় কঙ্গনা রানাওয়াত, মধুর ভাণ্ডারকর, বিবেক অগ্নিহোত্রীদের এই মামলায় সাক্ষী হিসাবে উল্লেখ করেন তিনি। জানা গেছে, আগামী ৩ অগস্ট এই মামলার শুনানি হতে পারে।
কয়েক দিন আগেই, কঙ্গনা রানাওয়াত, মধুর ভাণ্ডারকর, বিবেক অগ্নিহোত্রীদের দেশের সাম্প্রদায়িক কিছু ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। এই ঘটনার সাথে ছিলেন অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, শ্যাম বেনেগাল, অনুরাগ কাশ্যপ, আদুর গোপালকৃষ্ণন, মণি রত্নম, রামচন্দ্র গুহ-সহ ৪৯ বুদ্ধিজীবী। ওই চিঠিতে তাঁরা জয় শ্রীরাম স্লোগান কে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এরপরে শুরু হয় বহু সমালোচনা। বিহার আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে এই সমস্ত বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে। এবার দেখার বিষয়, এই ঘটনার জল আগামী দিনে কোন দিকে গড়ায়।