চিকিৎসকদের স্যালারি না দেওয়া নিয়ে অসন্তুষ্ট আদালত, বলল- যুদ্ধে সিপাহীদের দুঃখী করলে চলে না

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা নিয়ে দেশজুড়ে লড়াই চলছে, আর তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) শুক্রবার করোনার মহামারী নিয়ে চিকিৎসকদের বেতন ও সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আগেই করোনায় মৃতদের দেহ সৎকারের সময় ঠিকমতো নিময় মানা হচ্ছে না বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আদালত। এদিন করোনার সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করল সুপ্রিম কোর্ট।

এদিন সুপ্রিম কোর্ট বলে, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা সুস্থ হয়ে ওঠার পর কীভাবে হাসপাতাল থেকে তাঁদের ডিসচার্জ করা হবে, সেই বিষয়ে দেশজুড়ে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চলা উচিত। এই বিষয়ে আদালত প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি করবে। যাতে সরকার সেটা সারা দেশে বলবৎ করতে পারে। ৮ জুলাই এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে। তার আগে বিভিন্ন রাজ্য ও সংস্থা, যারা মতামত জানাতে চায়, এদিন লিখিতভাবে তাদের মতামত জমা দিতে বলেছে আদালত।

CORONAVIRUS REUTERS 3 770x433 j

বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি সঞ্জয় কিশান কৌল এবং বিচারপতি এম আর শাহের একটি বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারকে করোনার যোদ্ধাদের রক্ষার জন্য অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিতে বলেছে।

ঊর্ধবসীমার মধ্যেই রাজ্যগুলিকে তাদের করোনা পরীক্ষা খরচ নির্দিষ্ট করতে হবে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। করোনা পরীক্ষার খরচ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরই সলিসিটর জেনারেল মেহতা জানান, সারা দেশে কোভিড টেস্টের খরচ এক ও নির্দিষ্ট। এমনকি যেহেতু দিল্লির বেশ কয়েকটি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার খরচে মোটা অঙ্কের বিল নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল, তাই এক্ষেত্রে নজরদারি চালানোর জন্য কেন্দ্র একটি ইন্সপেকশন কমিটিও গঠন করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা রিপোর্ট দেখেছি যে ডাক্তাররা ধর্মঘটে গিয়েছিলেন। দিল্লিতে ডাক্তারদের তিন মাস ধরে বেতন দেওয়া হয়নি। সরকারের এই উদ্বেগগুলিতে মনোযোগ দেওয়া উচিত ছিল। আদালতের হস্তক্ষেপ করার দরকার নেই। সরকারের উচিত ডাক্তারদের সমস্যা সমাধানের বিষয়টি নিশ্চিত করা।

SUPRIME 1

অন্যান্য রাজ্যেও যাতে এরকম ইন্সপেকশন কমিটি গঠন করা হয়, সেইজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারির জন্যও এদিন শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন করেন সলিসিটর জেনারেল। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত সারা দেশে করোনার সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২ লাখের উপর মানুষ।

এক চিকিৎসক বলেন,  চিকিৎসক ও মেডিকেল কর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার কথাও উল্লেখ করেছেন। যার পরে বেঞ্চ সলিসিটার জেনারেলকে এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এতে সলিসিটার জেনারেল বলেছিলেন যে, করোনার রোগীদের চিকিত্সা করা চিকিত্সকদের ফাইভ স্টার হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।


সম্পর্কিত খবর