বাংলাহান্ট ডেস্ক : পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (Punjab National Bank) আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত নীরব মোদির (Nirav Modi) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল আদালত। বুধবার এফইও-র বিশেষ আদালত আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা, একটি বাড়ি সহ নীরবের ৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধ আইন বা এফইওর ওপর ভিত্তি করে এই নির্দেশ দেয় বিশেষ আদালত।
দক্ষিণ মুম্বইয়ে অবস্থিত নীরবের বিলাসবহুল বাড়ি রিথম হাউজ, আলিবাগে থাকা গহনা ব্যবসায়ীর বাংলো, ২২টি গাড়ি, বিদেশি অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে আদালতে আবেদন জানায় ইডি। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নীরব মোদির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিল আদালত। এর আগে ২০১৯ সালে নীরব মোদিকে অর্থনৈতিক অপরাধীর তকমা দেয় বিশেষ আদালত। এফইও-র নতুন আইন অনুসারে নীরবকে ওই তকমা দেওয়া হয় বলে জানা যায়।
আদালতের নির্দেশের পরই নীরবের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আরও একটি আবেদন করতে হবে। পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্ক প্রিভেশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট বা পিএমএলএর অধীনে প্রাথমিকভাবে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কয়েক হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপ ও আর্থিক দুর্নীতি মামলায় হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে প্রতারণা করে। ভুয়ো নথি দিয়ে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের থেকে কোটি কোটি টাকার ঋণ নেয় নীরবের সংস্থা। পিএনবির মুম্বই ব্রাঞ্চ থেকে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়েছিল। যে সংস্থা এই ঋণ নিয়েছিল, তা ২০১১ সাল থেকে নীরব মোদির অধীনেই ছিল। এই মুহূর্তে বিদেশে রয়েছে নীরব মোদি। তাঁকে দেশের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে ভারত সরকার।