বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিশ্ব জুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহকে (Gay Marriage) সংবিধান স্বীকৃত করতে লড়াই চালাচ্ছেন বহু সংখ্যক মানুষ। আদালতে চলছে দীর্ঘ আইনি লড়াই। কেন্দ্রের মত জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্টও। আগমীকাল মঙ্গলবার সেই মত জানানোর দিন। এরই মধ্যে সংসদে দাঁড়িয়ে সমসিঙ্গ বিবাহ নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদি (Sushil Modi)। তাঁর কথায়, সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই আদালত। দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সমকামী বিয়েকে সমর্থন করে না। তাঁর এই মন্তব্যের পরই শুরু হয় বিতর্ক। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারও আদালতে সমলিঙ্গ বিবাহের বিরোধিতা করবে।
সোমবার রাজ্যসভায় জিরো আওয়ার চলাকালীন সমকামিতা নিয়ে মুখ খুললেন বিহারের সাংসদ। তাঁর দাবি, দুজন বিচারপতি বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। সুশীল মোদির কথায়, ‘কিছু বামমনস্ক উদারপন্থী আন্দোলনকারীরা সমলিঙ্গ বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তুলছে। কিন্তু বিচারবিভাগের দেশের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে কোনও রায় দেওয়া উচিত নয়।’ সমকামিতাকে মেনে নেওয়া যায় না, দাবি সুশীল মোদির।
বিহারের রাজ্যসভার সাংসদ আরও বলেন, ‘সমলিঙ্গ বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার বিরোধিতা করছি আমি। এই দেশের কোনও আইনই সমকামি বিবাহে স্বীকৃতি দেয় না। তাই সমলিঙ্গ বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দিলে তা ভারতের আইনকে অসম্মান করা হবে।’ তিনি আরও জানান, আদালতে সরকার সমলিঙ্গ বিয়ের বিরুদ্ধেই মত দেবে।
কয়েক বছর আগেই ৩৭৭ ধারায় সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সমলিঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক দুই ব্যক্তির সম্মতিতে তাঁদের মধ্যে যে সম্পর্ক তৈরি হয়, তাকে আর অপরাধ গণ্য করা যাবে না। কিন্তু তারপরও তাঁদের মধ্যে বিয়ের কোনও নির্দেশ বা আইন এদেশে নেই। প্রাইভেট মেম্বার’স বিলের মাধ্যমে সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দেওয়ার আবেদন জানিয়ে কেউ কেউ দাবি করেন, এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের মানুষজনকেও সমান অধিকার দেওয়া হোক। একে স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট, ২০২২ বলা যেতে পারে।