বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টানা ১৪ বছর ধরে দিনের পর দিন ভুল চিকিৎসার (Treatment) কারণে চিরকালের জন্য বাবা হওয়ার ক্ষমতা হারাল এক যুবক। একাধিক ওষুধ ইনজেকশন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও কোন লাভ হয়নি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন ওই যুবক। সব শুনে এবার আদালতের তরফে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকার জরিমানা করা হল।
‘ভুল’ চিকিৎসায় (Treatment) বাবা হওয়ার ক্ষমতা হারালেন যুবক
আদালতের বক্তব্য অনুযায়ী চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ (Treatment) রোগীর শরীরের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছিল। যার ফলে নষ্ট হয়েছে ওই যুবকের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে। ওই অভিযুক্ত চিকিৎসক হলেন প্রয়াগরাজের মোতীলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসক। এছাড়া শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গেও যুক্ত তিনি।
তার নাম অরবিন্দ গুপ্ত। ওই চিকিৎসকের কাছেই দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে চিকিৎসা করাচ্ছেন যুবক। শত চেষ্টা করেও তার সন্তান জন্মাচ্ছিল না। চিকিৎসকের পরামর্শে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধের পাশাপশি ইনজেকশন নিয়েছিলেন ওই যুবক। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তিনি উপভোক্তা আদালতে জানান প্রথমে চিকিৎসার (Treatment) জন্য তিনি সরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
তারপর একটি বেসরকারি হাসপাতালর চিকিৎসক অরবিন্দ গুপ্তের কাছে তিনি নিয়মিত চিকিৎসা করানোর জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু ১৪ বছর ধরে চিকিৎসা করিয়ে কোন লাভ না হওয়ার শেষ পর্যন্ত একজন তৃতীয় চিকিৎসকের পরামর্শ নেন যুবক। সেই চিকিৎসক সমস্ত পরীক্ষা করে জানান এতদিন তার ভুল চিকিৎসা (Treatment) করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দুই বাসের মধ্যে তুমুল ঝগড়া! ইসলামপুরে মৃত্যু হল ২ যাত্রীর, গুরুতর আহত আরও ৮
ওই চিকিৎসার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াতেই যুবক তার বাবা হওয়ার ক্ষমতা হারিয়েছেন। মামলা চলাকালীন উপভোক্তা কমিশনের প্রিসাইডিং অফিসার যুবককে মামলার খরচ বাবদ মোট ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে শুনানি শেষে অভিযুক্ত চিকিৎসকের কাছে মোট ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
একই সাথে যে বেসরকারি হাসপাতালে এই যুবকের চিকিৎসা চলছিল সেই হাসপাতালকেও এক লক্ষ টাকার জরিমানা করেছে আদালত। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ওই যুবককে ৯ শতাংশ সুদসহ জরিমানার পুরো টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।