বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর্থিক প্রতারণার মামলায় IAS পূজা সিঙ্ঘলকে পাঁচ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। যদিও এই মামলায় আদালতের কাছে 12 দিনের জন্য হেফাজত চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা, তবে এদিন পূজার বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। এর মাঝেই, জেল হেফাজতে প্রবেশের মুহূর্তেই ঘটে বিপত্তি। রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে হঠাৎ সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় ঝাড়খণ্ডের খনি দপ্তরের সচিব পূজা। পরবর্তীকালে অবশ্য তার অবস্থা স্থিতিশীল হয় বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশের পর প্রথমে পূজা সিঙ্ঘলের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। সেখানে অবশ্য তার কোন রকম সমস্যা ধরা পড়েনি, কিন্তু হঠাৎ রাতের দিকে জেলে প্রবেশ করানোর সময়ই হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অভিযুক্ত মহিলা। পরবর্তীতে অবশ্য রক্তচাপের ঔষধ খাওয়ানোর পর বর্তমানে সে সুস্থ রয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, বর্তমানে অন্যান্য কয়েদিদের থেকে আলাদা একটি সেলে রাখা হয়েছে তাকে।
সম্প্রতি MGNREGA প্রকল্পে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠে ঝাড়খণ্ডের খনি দপ্তরের সচিব পূজার বিরুদ্ধে। তিনি আবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলেও জানা গিয়েছে। এরপরই ইডি দ্বারা গত মঙ্গলবার তাকে প্রায় নয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জেরার মুখে পড়তে হয়। ইডির দাবি অনুযায়ী, বিগত বেশ কিছু সময় ধরে পূজা সিংহল এবং তার স্বামী দুজনে মিলে উক্ত প্রকল্প থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
বলে রাখা ভালো, 2000 সালের এই আইএএস মহিলার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ এই প্রথম নয়। ঝাড়খণ্ডের অধিবাসী পূজার বেআইনি সম্পত্তির বিস্তার সুদূর কলকাতাতেও ছড়িয়ে রয়েছে। কলকাতার রাজারহাটের বুকে একটি বাড়িও হয়েছে তার। এই সকল খবর পাওয়ার পরই সন্দেহের বশে চারিদিকে তল্লাশি চালায় ইডি এবং এরপরেই আদালতের নির্দেশে এদিন পাঁচ দিনের জেল হেফাজত হলো পূজার।