বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত দু’বছর ধরেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সরগরম গোটা বাংলা। এই মামলায় অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে (Sujay Krishna Bhadra) সোমবার নিম্ন আদালতে হাজির করানোর কথা ছিল। কিন্তু এই নিয়ে পরপর পাঁচ বার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়ালেন তিনি। জানা যাচ্ছে জেলের হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন কাকু।
‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku) হাজিরা নিয়ে প্রশ্নের মুখে CBI
আগেও এই একই কারণে ৪ বার হাজিরা এড়িয়েছিলেন ‘কাকু’ (Kalighater Kaku)। ইতিমধ্যেই গত সপ্তাহের শুক্রবার নিয়োগকান্ডে ইডির মামলা থেকে জামিন পেয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে আরো একটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল সিবিআই। তবে সিবিআই এইভাবে বারবার নিন্ম আদালতে কাকুর (Kalighater Kaku) হাজিরার নির্দেশ চাওয়ায় এই বিষয়ে সোমবার হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন কাকুর আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায়।
তাঁর বক্তব্য ছিল, সিবিআই ‘কাকু’কে আদালতে হাজির করানোর জন্য প্রায় প্রতিদিনই আবেদন করছে। তা কি আদৌ করা যায়? এই প্রশ্নের উত্তর চেয়ে তদন্তকারী আধিকারিকের থেকেও হলফনামা চাওয়ার কথা বলেছেন তিনি। জবাবে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেছেন, অভিযুক্ত অসুস্থ,তাই নিম্ন আদালত সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলেও তাকে আদালতে আনা যাচ্ছে না।
তারপরেই এদিন আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই। জানতে চাওয়া হয়, ‘কেন ‘কাকু’কে জেলে গিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে না?’ আদালত জানতে চেয়েছে কেন ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তারা ব্যবহার করছেন না? বিচারক এদিন স্পষ্ট জানিয়েছেন সিবিআই চাইলে সোমবারই , জেলে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মিলছে ৩০০-৫০০ টাকা! ৩৬ লক্ষ মানুষের পেনশন নিয়ে সামনে বড় খবর
সোমবার বিচারভবনে গেলে সিবিআইয়ের উদ্দেশে বিচারক সরাসরি বলে দেন, ‘আপনারা কেন সুজয় কৃষ্ণকে জেলে গিয়ে গ্রেফতার করছেন না? সব কোর্টের কাঁধে চাপিয়ে দিচ্ছেন। আপনারা তদন্ত করছেন। আপনারা চাইলে জেলে গিয়ে গ্রেফতার করতে পারেন। চাইলে আজও জেলে গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে ওঁকে গ্রেফতার করতে পারেন।’
জবাবে সিবিআই-এর আইনজীবী বলেছেন, অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর হলেও তিনি এখনও জামিনে মুক্ত হননি। সোমবারই ভার্চুয়াল মাধ্যমে ওঁকে হাজির করানোর আবেদন জানাচ্ছি।‘ কাকু’ প্রসঙ্গে একই মত কলকাতা হাই কোর্টেরও। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের বেঞ্চ জানিয়েছে,অসুস্থতার জন্য যদি ‘কাকু’ সশরীরে হাজিরা দিতে না পারেন তাহলে তাঁকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির করানো যেতে পারে।
সে ক্ষেত্রে আর্জি মঞ্জুর হলে ‘কাকুকে হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই। তবে ‘কাকু’র আইনজীবী এ বিষয়ে শুনানির জন্য আদালতের থেকে কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছেন। জানা যাচ্ছে শুনানি শেষে এই সংক্রান্ত রায় স্থগিত রেখেছেন বিচারভবনের বিচারক। তবে মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত শুনানি হলেও হতে পারে।