এবার বাতিল হবে ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের নির্দেশিকা? জনস্বার্থ মামলায় বড়সড় সিদ্ধান্ত আদালতের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত ১৯ মে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank Of India) তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, এবার ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ২,০০০ টাকার নোটগুলি বদল করতে বা ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয় RBI-এর তরফে।

যদিও, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের এহেন সিদ্ধান্তের পরেই তৈরি হয়ে যায় সমালোচনার আবহ। এমনকি, অনেকেই আবার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতাও করেন। এরই মধ্যে RBI-এর এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একাধিক মামলাও দায়ের হয়েছে। তবে, এবার ঠিক সেইরকমই এক মামলা সোমবার খারিজ করে দিল দিল্লির উচ্চ আদালত।

মূলত, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নাকি ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করার অধিকার নেই, এমনই দাবি জানিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন রজনীশ ভাস্কর গুপ্ত নামের এক ব্যক্তি। তবে, সেই মামলাই এবার হয়ে গেল খারিজ। জানা গিয়েছে, রজনীশ দাবি করেছিলেন, RBI-এর আইন অনুযায়ী, এইভাবে হঠাৎ করার নোট প্রত্যাহারের অধিকার RBI-এর হাতে নেই। এমতাবস্থায়, শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারই বিজ্ঞপ্তি জারি করে নোট প্রত্যাহার করতে পারে।

এছাড়াও, তিনি আরও দাবি করেন যে, মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই একটি নতুন নোটকে প্রত্যাহার করে নেওয়া আদৌ উচিত নয়। যার ফলে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কারণ, বাজারে এখন কেউই নতুন করে ২,০০০ টাকার নোট নিতে চাইছে না। যদিও, শেষপর্যন্ত আবেদনকারীর এই যুক্তিগুলি খারিজ করে দেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সুব্রহ্মণ্য প্রসাদের বেঞ্চ।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, রাত্রি ৮ টার সময় বড়সড় ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মূলত, তিনি সেদিন নোটবাতিলের বিষয়টি সামনে এনেছিলেন। এদিকে, ওই ঘোষণার পরেই রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছিল সমগ্ৰ দেশজুড়ে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল যে, জাল নোট এবং ভুয়ো টাকার রমরমা ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যার ফলে তৎকালীন প্রচলিত ১,০০০ এবং ৫০০ টাকার নোট বাতিল হয়ে যায়।

Court's big decision in Rs 2,000 note withdrawal case

যদিও, পরবর্তীকালে অবশ্য নতুন ৫০০ ও ২,০০০ টাকার নোট নিয়ে আসা হয়েছিল। যার মধ্যে এবার ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে RBI। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, প্রায় ৭ বছর আগে এই নোট ছাপানো শুরু হলেও ২,০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা কিন্তু RBI-এর আগে থেকেই ছিল। যার কারণে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকেই ২,০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর