বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) আতঙ্কে বিশ্ব আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে রয়েছে। মহামারির আকার ধারণ করা এই রোগকে WHO এই রোগকে মহামারি বলে ঘোষণা করেছে। বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাতেও এর প্রভাব পড়েছে। ভারতেও ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগ। কেন্দ্র সরকারও এই রোগ প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করছে।
আইসিএমআর বিশেষজ্ঞদের মতে এই রোগটির চারটি পর্যায় রয়েছে। প্রথমত বিদেশ সফরে এই রোগের সংক্রমণ ঘটে। দ্বিতীয় পর্যায়ে কোন সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে সুস্থ ব্যক্তির দেহে এই রোগ প্রবেশ করে। তৃতীয় পর্যায়ে বিদেশ সফর করেননি অথবা আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শেও আসেননি, এমন ব্যক্তির দেহেও কিন্তু হাওয়ার মাধ্যমে এই রোগ সংক্রমণ হতে পারে। এবং শেষ ধাপটি হল মহামারী।
বৈদেশিক গবেষক ভার্গব বলেন, ‘চীনের (Chaina) পথ অনুসরণ করেই এই রোগ ভারতেও (India) ছড়াতে পারে। ধীরে ধীরে একটার পর একটা ধাপ অতিক্রম করবে এই কোভিড-১৯। এই রোগের দ্বিতীয় পর্যায় থেকে তৃতীয় পর্যায়ে যেতে মাত্র ৩০ দিন সময় লাগবে। যার ফলে কোভিড -১৯-এর কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বন্ধ করতে ভারতের হাতে রয়েছে মাত্র ৩০ দিন। এই তৃতীয় পর্যায়ের অগ্রগতি থামিয়ে রাখা বা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে’।
এই মারণ রোগের হাত থেকে মুক্তি পাবার জন্য বিদেশের ভিসা বাতিল করে দেয় কেন্দ্র সরকার। বর্তমানে দিল্লীতে আগামী ৩১ শে মার্চ অবধি সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার সিধান্ত নেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সরকার। এর পাশাপাশিও কলকাতারও বহু বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।করোনা ভাইরাসকে ‘নোটিফায়েড ডিজাস্টার’ বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। এরই সাথে মৃতদের পরিবার পিছু ৪ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার।
যে কোন রকম পরিস্থিতিতে ভাইরাসের হাত থেকে মোকাবিলা করার জন্য সব রকমভাবে তৈরি সরকার। প্রয়োজনীয় মাস্ক, স্যানেটাইজার মজুত রাখা হচ্ছে। সকল নাগরিককে করোনা ভাইরাসের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বনও করতে বলা হয়েছে।করোনা ভাইরাসকে দিল্লী ও হরিয়ানায় মহামারি বলে আখ্যা দেওয়া হছে। মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এবং রাজস্থানে সমস্ত স্কুল, সুইমিংপুল, জিম, প্রেক্ষাগৃহ, পার্ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।