বাংলা হাট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের উৎস সন্ধানে বারবারই কাঠগোড়ায় উঠে এসেছে চীনের নাম। উহানের সি ফুড মার্কেট থেকে প্রথমেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও অনেকেই মনে করেছেন আসলে এটা চিনের গবেষণাগার থেকেই উদ্ভূত। গবেষণাগারে জৈব-রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি করতে গিয়েই কাণ্ডটি ঘটিয়েছে তারা। যদিও প্রথম থেকেই এই দাবিকে মিথ্যা বলে আসছে চীন। তাদের মতে এই ভাইরাস সম্পূর্ণ তৈরি হয়েছে প্রকৃতি থেকেই। এতে তাদের কোনো ভূমিকা নেই। এর আগে এ বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য সামনে এনে ছিলেন চীনা বিজ্ঞানী লি-মেন-ইয়াং। গত বছর এ বিষয়ে চীনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আমেরিকাও।তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, এ বিষয়ে যদি চীনের ষড়যন্ত্র প্রমাণিত হয়। তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু এখনো পর্যন্ত তেমনভাবে কিছু সামনে আসেনি। একই ভূমিকা নিয়েছে বাইডেন প্রশাসনও। তাদের অনুমানেও কোভিড -১৯ এর পিছনে যথেষ্ট হাত রয়েছে চীনের। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে গোয়েন্দা নিয়োগ করেছে মার্কিন প্রশাসন। তাদের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৯০ দিন। তবে এ বিষয়ে চীন কোন সাহায্য করছে না বলেই অভিমত মার্কিন কর্তাদের। তাদের মতে এভাবে চলতে থাকলে কোভিড-১৯ তো বটেই এরপর কোভিড-২৬ এবং কোভিড-৩২ এর মহামারীতেও দগ্ধ হতে হবে সারা বিশ্বকে। চিন যেভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, তাতে ভবিষ্যৎ আরো মারাত্মক হতে চলেছে বলেই অভিমত তাদের।
একই মত পোষণ করেছেন মার্কিন এফডিএ অর্থাৎ ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের প্রাক্তন কমিশনার স্কট গটলিয়েবও। তার মতে চীন যেভাবে তথ্য লুকানোর চেষ্টা করছে তাতে উহানের বায়োসেফটি গবেষণাগার থেকেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার তত্ত্ব আরো মজবুত হচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই তা মানতে চাইছে না চীন। মার্কিন কর্তারা মনে করছেন, মাছের বাজার আসলে আসল ঘটনা থেকে গোয়েন্দাদের দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা মাত্র।এরই মধ্যে এমন তথ্যও উঠে আসছে যে শুধু ভাইরাসের প্রথম স্ট্রেন নয় দ্বিতীয় স্ট্রেন তৈরিতেও যথেষ্ট ভূমিকা আছে চীনের ওই গবেষণাগারের। সেখানেই রাসায়নিক ভাবে জিনের পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। দ্বিতীয় এই স্ট্রেনকে ছড়িয়ে দিতে চিনা সেনা বাহিনীর ভূমিকার কথাও উঠে এসেছে। এখন আগামী দিনে এই তদন্ত কোন দিকে গড়ায় সে দিকে নজর থাকবে সকলের।..