এবার জলেও মিলল করোনাভাইরাস! তিন জায়গা থেকে নেওয়া হয়েছিল স্যাম্পেল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কোভিড নিয়ে এমনিতেই মুহূর্তে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। বিশেষত ভারতে রোজই নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। মৃত্যুর সংখ্যা কয়েক হাজার। এমতাবস্থায় লড়াই করতে করতে প্রায় যখন নাজেহাল ভারত, তখনই ফের একবার সামনে এল আতঙ্কজনক একটি খবর। এবার জলেও মিলল করোনা ভাইরাসের স্যাম্পেল। আর তাই নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞমহল। এতদিন বায়ুতে ভাসমান করোনা ভাইরাসের কথাও সামনে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়। সামনে এসেছে গোষ্ঠী সংক্রমণের তথ্য। তবে জলের মধ্যে থাকতে পারে এই ভাইরাস এমন তথ্য সাম্প্রতিক অতীতে একবার সামনে এলেও তেমন কোনো পোক্ত প্রমাণ সামনে আসেনি।

নিকাশি জলে থাকতে পারে করোনা ভাইরাসঃ

কিন্তু এবার সামনে এলো বেশ কিছুটা পোক্ত প্রমাণ। নর্দমা নিকাশি জলের নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে তাতে করোনাভাইরাসের সন্ধান পেলেন লখনউ পিজিআইয়ের গবেষকরা। জানা গিয়েছে, লখনউয়ের খরদার, রুকপুর, মছলি মন্ডল, ঝন্তঘর ইত্যাদি এলাকা থেকে নিকাশি জলের নমুনা সংগ্রহ করেছিল এসপিজিআই। তারপর এসপিজিআই ল্যাবে পরীক্ষা করার পর এই জলে ভাইরাসের নমুনা মেলে। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডক্টর উজ্জ্বলা ঘোষাল জানিয়েছেন, এর আগেই আইসিএমআর এবং হু একইসঙ্গে জলের মধ্যে করোনা ভাইরাস রয়েছে কিনা সে বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে। এই কারণেই উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তারা জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই রুকপুর এবং খদরার জলে করোনা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। এ বিষয়ে আইসিএমআরকেও বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন তারা।

রোগীদের মল থেকেই জলে মিশছে করোনা ভাইরাসঃ

এর আগেও বেশ কিছু গবেষণা জানিয়েছিল, ৫০% ক্ষেত্রে করোনা রোগীর মল থেকেই জলে মিশছে করোনা ভাইরাস। আর সেই কারণেই নিকাশি নালার জলে পাওয়া যাচ্ছে ভাইরাসের সন্ধান। এদিন একথা স্বীকার করে নিয়েছেন ডক্টর উজ্জলা ঘোষালও। তিনি জানিয়েছেন, এর আগে এই বিষয় নিয়েই একটি বিস্তারিত গবেষণা করেছিল পিজিআই। যাতে দেখা গিয়েছে করোনা রোগীর মল সাধারণত নর্দমার জলে গিয়ে মেশে আর সেখান থেকেই জলে মেশে ভাইরাস।

নদীর জলে কি থাকতে পারে ভাইরাসঃ

অনেকক্ষেত্রেই নিকাশি নালার জল গিয়ে বেশি নদীতে। সেক্ষেত্রে নদীতেও কি থাকতে পারে এই ভাইরাস। ডাক্তার উজ্জ্বলা অবশ্য জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এখনও গবেষণা চলছে। তাই সঠিকভাবে এখনই বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে নদীর জলে উঠে এভাবে ভাইরাস মিশতে পারে একথা অস্বীকার করা যায় না। নিকাশি নালা থেকে করোনা ভাইরাস নদীর জলে মিশলে তা যে আরও মারাত্মক হয়ে উঠবে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এমনিতেই এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে করোনা রোগীদের লাশ। তার কারনেও দূষিত হচ্ছে জল। তার ওপর এই ঘটনা ঘটলে তা যে আরও মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে তা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজ্যেই নর্দমার জল পরীক্ষার কথা ভাবছে আইসিএমআর।


Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর