বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনা থেকে বাঁচতে একমাত্র উপায় যে ভ্যাকসিন, একথা বারবার বলে আসছেন গবেষকরা। দেশজুড়ে একুশে জুনের আগে পর্যন্ত টিকার অভাব থাকলেও এখন তা অনেকটা মিটেছে। তাই টিকা দানের পরিমান বাড়াচ্ছে রাজ্যগুলি। পশ্চিমবঙ্গেও টিকা দানের জন্য একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। যদিও এরই মাঝে সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়েছে ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ড। তবে রাজ্যজুড়ে নির্দিষ্ট গতি মেনেই চলছে টিকাকরণ। ভ্যাকসিন অন হুইলস (vaccine on wheels) থেকে শুরু করে বেশকিছু কার্যকরী কর্মসূচি নিয়েছে কলকাতা পুরসভাও (Kolkata Corporation)।
সেই সূত্র ধরেই মঙ্গলবার উল্টোডাঙার একটি কমিউনিটি হলে চলছিল সরকারি ভ্যাকসিন ক্যাম্প। সরকারি আধিকারিকদের হিসাব অনুযায়ী ক্যাম্প থেকে আজ টিকা পেয়েছেন ১৪১ জন মানুষ। কিন্তু মেশিনের সঙ্গে হিসাব মিলছে না। মেশিনের হিসেব অনুযায়ী টিকা দেওয়া হয়েছে ১৭১ জনকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, কোথায় গেল এই অতিরিক্ত ৩০ টি ডোজ।
এই ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। যুগ্ম-কমিশনার তাপস চৌধুরী (Taposh Chaudhari) ও তিন নম্বর বরোর কো-অর্ডিনেটর অনিন্দ্য রাউত (Aninda Raut) গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি যান্ত্রিক ত্রুটি। মেশিনের গন্ডগোলের কারণেই হিসাবে দেখা দিয়েছে সমস্যা। তবুও পুরো বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।
আবার নতুন করে নথিভূক্ত করা হচ্ছে উল্টোডাঙ্গা বিধান শিশু উদ্যান থেকে টিকা গ্রহণ করা ব্যক্তিদের নাম। পুরো ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনার আবহ সৃষ্টি হয়েছে পুরসভার অন্দরে। কিছুদিন আগেই দেবাঞ্জন দেবের ভুয়ো নথিপত্রের জেরে খানিকটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছিল কলকাতা পুরসভা। কারণ দেবাঞ্জনের অফিস থেকে মিলেছে পুরসভার লেটারহেড। ফের একবার ভ্যাকসিন বিভ্রাটের কারণে অস্বস্তিতে পড়তে হলো পুরসভার আধিকারিকদের।