বাংলাহান্ট ডেস্ক : গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) ইতিমধ্যে সিবিআই হেফাজতে এনামুল হক, অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) ও সায়গল হোসেন। এবার সিবিআইয়ের (CBI) নজরে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ আব্দুল লতিফ। অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। যদিও অভিযুক্ত লতিফ এখন পলাতক। সিবিআই অনুমান করছে লতিফ পালিয়েছে সোজা বাংলাদেশে।
ইলমাবাজারের গরুর হাটে অতীব সাধারণ একজন দড়ি বিক্রেতা কীভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হল সেটাই এখন তদন্ত করে দেখছে সিবিআই। ইলামবাজারের সুখবাজার এলাকা বাড়ি আব্দুল লতিফ। ইলামবাজারের হাটে গরু বাঁধার দড়ি বিক্রি করতে করতেই তার পরিচয় হয় গরুপাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে। ধীরে ধীরে লতিফ হয়ে উঠেছিল ইলামবাজার হাটের সর্বেসর্বা। এশিয়ার বৃহত্তম এই ইলামবাজারের হাট নিয়ন্ত্রণ করত লতিফই।
২০১৪ সালের পর থেকেই লতিফের এই বাড়বাড়ন্ত। ২০২২ সালে যে জায়গায় লতিফ অবস্থা দেখলে চোখ কপালে উঠবে। লতিফ এখন পলাতক। কিন্তু তার ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে। বোলপুরের শ্রীনিকেতন এলাকায় রয়েছে লতিফের মার্বেলের দোকান-নাজ মার্বেল। বিশাল জমির উপরে রয়েছে তার এই মার্বেলের ব্যবসা। ইলামবাজারের রয়েছে তার আরও একটি মার্বেলের দোকান। ইলামবাজারে ২২ বিঘে জমির উপরে রয়েছে তার ডাম্পার সার্ভিসিংয়ের শো রুম।
ইলামবাজারে তাঁর নামেই তৈরি হচ্ছে একটি পেট্রোল পাম্প। ইলামবাজার জঙ্গলের ভেতরে রয়েছে একটি হেচারি। সেখান থেকে রোজ ৩ হাজার ডিম বাজারে আসে। সুখবাজার এলাকায় রয়েছে তার একটি বিরাট বাড়ি। এই সব সম্পত্তির আর্থিক মূল্য আনুমানিক ১০০ কোটি টাকারপ বেশি। লতিফ পালিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু, তার সমস্ত ব্যবসা চলছে স্বাভাবিক ভাবে। প্রশ্ন উঠছে কিভাবে সে আড়ালে থেকে গোটা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে সে?
এই গোরুপাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা মনে করছে এই লতিফকে গ্রেফতার করলেই অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।। কারন এই ইলামবাজার হাটই ছিল বীরভূমের গরু পাচারের প্রধান করিডর।। এই লতিফের মাধ্যমেই সায়গলের কাছে টাকা পৌঁছে যেত। এমনকি এনামুলেরও ডান হাত ছিল এই লতিফই। আবার গরু কিভাবে পাচার হতো কোথা দিয়ে যাবে কিভাবে মুর্শিদাবাদ পৌঁছাবে প্রায় সমস্তটাই নিয়ন্ত্রণ করত এই লতিফ। আব্দুল লতিফ ওরফে হিঙ্গুর কবে ধরা পড়বে এখন সেটাই সব থেকে বড় প্রশ্ন হয় দাঁড়িয়েছে।