বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচারকাণ্ডে (Cow Smuggling Case) বর্তমানে জেলবন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গতবছর গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে জেলের ঘানি টেনেই দিন কাটছে তার। বর্তমানে কেষ্টর ঠিকানা দিল্লির তিহাড়। ইডি আধিকারিকরা অনুব্রতকে রাজধানীতে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই একে একে তার ঘনিষ্ঠদের তলব করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এবার কেষ্ট ঘনিষ্ঠ নির্মাণ ব্যবসায়ীকে (Promoter) দিল্লিতে ডেকে পাঠাল ইডি (ED)।
সূত্রের খবর, গতকাল ওই ব্যবসায়ীকে টানা প্রায় ১১ ঘন্টা জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়। বুধবার সকাল ১০টার কিছু পর ইডি দফতরে পৌঁছন তিনি, যখন বেরিয়ে আসেন তখন ঘড়িতে সময় রাত ৯টা। জানা গিয়েছে অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ ওই ব্যবসায়ীর নাম ডালিম হাজরা। ইডির অনুমান, বিভিন্ন ক্ষেত্রের পাশাপাশি গরু পাচারের বিপুল টাকা প্রোমোটারি ব্যাবসার কাজেও লাগানো হয়েছিল। সেজন্যই ওই ব্যবসায়ীকে তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরই একের পর এক তার ঘনিষ্ঠদের রাজধানীতে তলব করে চলেছে ইডি। তাদের অভিযুক্ত কেষ্টর মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ইডির নির্দেশ মতো দিল্লিতে হাজিরা দিয়ে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে কিছুদিন আগেই গ্রেফতার হন অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি।
বহুবার তলব করা হয় অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও। পাশাপাশি তার গাড়ির চালক তুফান মিদ্দা, যুব তৃণমূল নেতা কৃপাময় ঘোষকেও দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। তলব করা হয় আসানসোল জেল সুপার, অনুব্রতর বাড়ির রাঁধুনি, এক মিস্ত্রি সহ আরও অনেককেই। জানিয়ে রাখি গরু পাচার মামলায় বর্তমানে এনামুল হক ও অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গাল হোসেনও তিহাড়ে বন্দি রয়েছে।
অন্যদিকে, বুধবার ফের দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা এড়ান সুকন্যা মণ্ডল। এই নিয়ে তৃতীয়বার তাকে তলব করা হলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দফতরে যান নি অনুব্রত কন্যা। সূত্রের খবর, ইডি-কে চিঠি দিয়ে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন সুকন্যা। এও বলেছেন তার নাকি চিকিৎসা চলছে। এই পরিস্থিতিতে অনুব্রত কন্যার বিরুদ্ধে ইডি বড় কোনও অ্যাকশন নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।