বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আদালতের নির্দেশে অবশেষে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saygal Hossain) হেফাজতে নিতে সক্ষম হলো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরট (Enforcement Directorate)। গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সায়গলকে এদিন সাত দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির (Delhi) আদালত। যদিও এক্ষেত্রে দু সপ্তাহের জন্য হেফাজতের আবেদন করা হলেও পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের নির্দেশই বহাল রেখেছে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট।
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় সর্বপ্রথম গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। এক্ষেত্রে একজন সাধারণ দেহরক্ষীর কাছ হতে কোটি কোটি সম্পত্তির হদিশ পায় তদন্তকারী অফিসাররা এবং এরপর সন্দেহের বশেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে হেফাজতে থাকার পর সম্প্রতি সায়গলকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার জন্য আবেদন করে ইডি।
তবে এক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টে ইডির আবেদন খারিজ হয়ে গেলেও পরবর্তীতে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট তাদের আবেদনকে মঞ্জুরি দেয়। যদিও সায়গল হোসেনকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইডির রাস্তা অতটাও মসৃণ হয়নি! আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম দিল্লি হাইকোর্ট এবং পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টে গেলেও উভয় আদালতেই খারিজ হয়ে যায় সায়গলের আবেদন। শেষ পর্যন্ত কোন রাস্তা খোলা না থাকায় অবশেষে গতকাল বিকেলের দিকে আসানসোল থেকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয় সায়গল হোসেনকে।
এক্ষেত্রে পুলিশের একটি বিশেষ দলের সঙ্গে রাজধানীতে পৌঁছে যান সায়গল। একইসঙ্গে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, এক সপ্তাহের উপর সময় অভিযুক্তকে দিল্লিতে রাখা যাবে না। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সকাল ১১ টা থেকে ১ টা এবং দুপুর ৩ টা থেকে ৪ টের মধ্যে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। এক্ষেত্রে তাঁর আইনজীবীকেও হাজির থাকতে দিতে হবে বলে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে হাইকোর্টের রায়ই এদিন পুনর্বহাল রাখলো দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট।
গরু পাচার মামলায় একইসঙ্গে সম্প্রতি সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। এক্ষেত্রে দিল্লিতে ইডি দফতরে সায়গল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে নয়া তথ্য উঠে আসার সম্ভাবনা প্রবল। এক্ষেত্রে তদন্তকারী সংস্থার দাবি অনুযায়ী, অনুব্রত হয়েই কাজ করতেন সায়গল। ফলে সব মিলিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এক্ষেত্রে অনুব্রত ইস্যুতে নয়া কোন রহস্য উদঘাটনের পথে, সেদিকে তাকিয়ে সকলে।