বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গ রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে গরু পাচার মামলা। তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) সিবিআই (CBI) দ্বারা গ্রেফতার করার পর থেকেই ক্রমশ একাধিক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসে চলেছে। তদন্তকারী সংস্থার তৎপরতাও তুঙ্গে পৌঁছেছে আর এর মাঝেই এবার বীরভূমের চার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের চার আধিকারিককে তলব করল সিবিআই।
ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। এদিন দুপুরেই তাদেরকে জেরা করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েকদিনে অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই আধিকারিকরা। এক্ষেত্রে অনুব্রতর নামে বেনামি সম্পত্তি পাওয়ার পাশাপাশি একাধিক জমি এবং কোটি কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে তারা। সম্প্রতি, তৃণমূল নেতা এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করে তদন্তকারী অফিসাররা, যার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলায়।
বিগত বছরগুলিতে গরু পাচার দুর্নীতি মামলায় প্রচুর আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে অনুমান সিবিআইয়ের আর এই সংক্রান্ত তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতেই বর্তমানে উঠেপড়ে বসেছে তারা। সিবিআই সূত্রের খবর, এদিন সিউড়ি এবং বোলপুরের চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। এক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের ব্যাঙ্ক মারফত লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক তথ্য জানতে চাইবে সিবিআই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে অনুব্রত মণ্ডলের নামে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করার পাশাপাশি তাঁর ব্যাঙ্ক একাউন্টে অসংখ্য লেনদেন চোখে পড়েছে তদন্তকারী সংস্থার ফলে সেই সকল টাকার উৎস কি এবং কোন খাতে সেগুলি জমা রাখা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হতে চলেছে। উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের সরাসরি যোগ রয়েছে বলে ইতিমধ্যেই দাবি করেছে সিবিআই। এক্ষেত্রে বহু পরিমাণ টাকা তৃণমূল নেতা তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে রেখেছিলেন বলেই অনুমান তাদের। ফলে এদিন ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে কোথায় কত টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল এবং তার প্রধান উৎস কি, তা জানাই বর্তমানে প্রধান উদ্দেশ্য সিবিআইয়ের।