চরম অর্থাভাব, টাকা নেই আইনজীবীকে দেওয়ারও! মহা বিপাকে অনুব্রত মণ্ডল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) জেলবন্দি তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বর্তমানে রাজ্য ছাড়িয়ে কেষ্টকে নিয়ে দিল্লি পাড়ি দিয়েছেন ইডি (ED)। সেখানে তিহাড় জেলে বন্দি তিনি। পেরিয়ে গিয়েছে বহুদিন, তবে এখনও জেলেই ঘানি টেনে দিন কাটছে অনুব্রতর। গরু পাচার মামলায় একের পর এক অভিযোগ আষ্টেপৃষ্টে ধরে রেখেছে তাকে। তবে যার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ, সেই অনুব্রতই নাকি কপর্দকশূন্য?

হ্যাঁ, ইঙ্গিত কিন্তু কিছুটা এমনই মিলেছে। সূত্রের খবর, এদিন নিজের আইনজীবীদের সঙ্গে একান্ত আলোচনা করেন কেষ্ট। সেই সময় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি জানান, তিহাড় জেল হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন প্রতিদিন তাকে বেশ কয়েকটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছে৷ এই ইঞ্জেকশনগুলি কীসের তা কেষ্টর জানা নেই। তাই এই বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষের থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট সংগ্রহ করার কথা আইনজীবীদের জানিয়েছেন অনুব্রত।

শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে এই মেডিক্যাল রিপোর্ট পাওয়ার জন্য দরকার হলে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করার পরামর্শও দিয়েছেন তৃণমূল নেতা। এখানেই প্রশ্ন উঠছে তবে কী কোনোভাবে আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছেন অনুব্রত! প্রসঙ্গত, তদন্তে নেমে প্রথমেই তদন্তকারী সংস্থাগুলি অনুব্রত ও তার ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয়। পাশাপাশি বহুমাস থেকে সব হেভিওয়েট আইনজীবীদের ফি দিতে গিয়েই কী অর্থাভাবে অনুব্রত? উঠছে প্রশ্ন।

জানা গিয়েছে, তিহাড় থেকে পুনরায় আসানসোলে ফিরতে দিল্লি হাইকোর্টে ফের আবেদন জানাতে পারেন অনুব্রত। সূত্রের খবর আইনজীবীদের তিনি বলেছেন, তার আসোনসোল যাত্রার আবেদনে তিহাড়ের মেডিক্যাল রিপোর্ট জুড়তে বাংলায় ফেরার পথ প্রশস্ত হবে। পাশাপাশি আদালতে তার আবেদনের পক্ষে সওয়াল করার জন্য নামী-দামি আইনজীবীর ‘ফি’ দিতে পারবেন না বলেও নাকি জানিয়েছেন কেষ্ট।

anubrata jail

উল্লেখ্য, সোমবার জেল হেফাজত শেষে দিল্লির রউজ অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। বিচারক রঘুবীর সিংয়ের এজলাসে পেশ করা হলে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয় কেষ্টর। সোমবার হুইল চেয়ারে বসে আদালতে পৌঁছন অনুব্রত। পরনে ছিল সাদা রংয়ের টি-শার্ট। ফের জেল হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধিতে আদালত থেকে বেরোনোর সময় অনেকটাই হতাশ দেখাচ্ছিল অনুব্রতকে।

এদিন আদালত চত্বরে অনুব্রতর কাছে কেমন আছেন জানতে চাইলে তার উত্তরে নেতা বলেন, ”শরীর ভাল নেই”। সূত্রের খবর, এদিন সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি নিজের আইনজীবী ও সিবিআই-র বিশেষ আদালতের বিচারককেও অনুব্রত জানিয়েছেন, তিনি ভালো নেই। সূত্রের খবর এখন তাকে নিয়মিত ইনহেলার এবং নেবুলাইজার ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ বলে। অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল জেলে পাঠানোর আবেদনের শুনানি রয়েছে ৮ মে। জানা গিয়েছে, দিল্লি হাইকোর্টে সেই শুনানি এগিয়ে আনার আবেদন জানাতে চলেছেন অনুব্রতর আইনজীবী সম্পৃক্তা ঘোষাল।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর