বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রচলিত অর্থনৈতিক নীতিগুলি থেকে সরে এসে এবার বড় পরিবর্তনের পথে হাঁটছে কেরালার সিপিআইএম সরকার। সমস্ত ক্ষেত্রেই বিপুল ভাবে বেসরকারি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার চেষ্টাই চালানো হচ্ছে সে রাজ্যে। আগামী বছরগুলিতে অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে আক্রমনাত্মক ভাবেই প্রচার চালানোর পরিকল্পনা চালাচ্ছে সিপিআইএম সরকার। বাজার এবং শিল্প গুলির ইউনিয়ন নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পরই সমস্ত নির্দেশিকা আরোপ করা হবে বলেও দলের শীর্ষ স্তর সূত্রে খবর।
কেরালার মেরিন ড্রাইভে দলের রাজ্য সম্মেলন চলাকালিন ‘নভ কেরালা’ উন্নয়ন নথিতে নীতি পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করে উচ্চশিক্ষা সহ বিভিন্ন খাতে সরকারি -বেসরকারি অংশীদারিত্ব বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। একটি বিশাল আর্থিক সংকটের মুখোমুখি কেরালা। এছাড়াও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্যও প্রয়োজন পর্যাপ্ত তহবিল। সেই কারণেই বৃহৎ বিনিয়োগ আনার চেষ্টা চালাচ্ছে সে রাজ্যের বাম সরকার।
কেরালার সিপিএমের রাজ্য কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন, ‘যদি রাজ্যে বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকে, তাহলেই ছাত্রছাত্রীরা আর দেশের বাইরে পড়াশোনার জন্য চলে যাবে না। রাজ্যের শিল্প এবং কৃষির উন্নতির একমাত্র ইন্ধন পরিকল্পিত বিনিয়োগ। আমাদের চিন এবং অন্যান্য স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশ গুলির উন্নয়নের মডেলকে মেনে চলা উচিত। পুঁজিবাদী দেশগুলির নয়।’
অন্যদিকে রাজ্য সম্পাদক মোকোডিয়েরি বালাকৃষ্ণানভিশনও সমর্থন জানিয়েছেন নথিতে উল্লিখিত নীতি গুলিকে। যদিও তিনি বলেন, ‘১৯৫৭ সালেও রাজ্যের উন্নয়নের জন্য এই ধরণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল দল। পার্টি নেতৃত্বের সাম্প্রতিক এই সিদ্ধান্তে নতুন কিছুই নেই।’ ওই বৈঠকে ট্রেড ইউনিয়ন গুলির অসাধু নীতিকে আক্রমন করেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নও। ট্রেড ইউনিয়নগুলি জেনে বুঝেই অসাধু ব্যবসার রীতি মেনে চলছে, এমন দাবিই করতে দেখা যায় তাঁকে।