বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে (sayani ghosh) গ্রেফতারের প্রতিবাদে সবুজ শিবিরের পাশে দাঁড়িয়ে ঘটনার তীব্র নিন্দা করল ত্রিপুরা সিপিএম (cpim)। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই একটি প্রেস বিবৃতিও জারি করা হয়েছে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষ থেকে।
প্রেস বিবৃতিতে ত্রিপুরার রাখাল মজুমদার জানান, ‘পুরসংস্থাগুলির নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, শাসক বিজেপির ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাস ততই বাড়ছে’। সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী ফেসবুকে প্রতিবাদ করে জানিয়েছেন, ‘এই রাজ্যের ঐতিহ্য, সুনাম এবং গর্ব- সবকিছুই শেষ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। যে করেও হোক রুখতেই হবে এই ধ্বংসলীলা। সবাইকে একসঙ্গে পথে নামতে হবে’।
আবার প্রেস বিবৃতিতে এই ঘটনার নিন্দা করে বামেরা লিখেছে, ‘থানার ভিতরে ঢুকে গিয়ে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের উপর আক্রমণ করছে, এমনকি ভাঙচুরও করছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছে সিপিএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী’।
প্রসঙ্গত, আগরতলার রামনগর এলাকায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী তপন দত্তর সমর্থনে শুক্রবার সন্ধ্যায় চলছিল এক পথসভা। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়, সায়নী ঘোষ সহ আরও অন্যান্যরা। সেখানে যখন মাইক হাতে সায়নী ঘোষ বক্তৃতা দিচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় ওই রাস্তা দিয়েই যাচ্ছিল বিজেপির একটি প্রচার ট্যাবলো। যাতে বাজানো হচ্ছিল বাবুল সুপ্রিয়র গাওয়া গান ‘এই তৃণমূল আর না আর না!’
গান শুনে গানের তালে শরীর দোলালেও, পরে মেজাজ হারান সায়নী। তাঁকে সামলে মাইক হাতে নিয়ে বাবুল বলেন, ‘ওই দলটার নেতাদের কতোটা অহং, সেটা ভেবে দেখুন একবার। যিনি এই গানটা বানিয়েছিলেন, আজ সেইই দলটা ছেড়ে দিদির সঙ্গে রয়েছেন। বিজেপি যত এই গান বাজাবে, তত বেশি লোক গেরুয়া ছেড়ে সবুজে আসবে’।