বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে প্রাথমিক টেট থেকে শুরু করে এসএসসি, কয়লা ও গরু পাচার মামলা সংক্রান্ত দুর্নীতি, আবার অপরদিকে আনিস খান হত্যা থেকে একের পর এক হিংসার অভিযোগ; সব মিলিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সরগরম রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। এ সকল ইস্যুকে হাতিয়ার করেই তৃণমূল কংগ্রেসকে (Trinamool Congress) একঘরে করতে মরিয়া বিরোধী দলগুলি। আর সেই ধারা বজায় রেখে ধর্মতলায় (Dharmatala) ইনসাফ সভার (Insaaf Sabha) আয়োজন করতে চলেছে বামেরা। এই সভাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বাংলায় যেভাবে একের পর এক দুর্নীতি মামলা সামনে এসে চলেছে, তাতে অস্বস্তি ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে শাসকদলের। একদিকে যখন নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার চাপ, আবার অপরদিকে সম্প্রতি আনিস খান হত্যা মামলায় সরকারের দিকে একের পর এক কটাক্ষ ছুড়ে দেয় বামেরা। এক্ষেত্রে হিংসার পাশাপাশি চাকরি প্রার্থীদের দুর্দশাসহ ইস্যুগুলিকে সামনে এনেই এদিন ইনসাফ সভার কথা ঘোষণা করেছে বাম ছাত্র যুব সংগঠন।
উল্লেখ্য, এদিন দুপুর ১২ টার সময় ধর্মতলা চত্বরে উক্ত সভার আয়োজন করার ডাক দেয় এফএফআই এবং ডিওয়াইএফআই সংগঠন। সূত্রের খবর, এখনো পর্যন্ত সভা আয়োজনের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ফলে এদিন ধর্মতলা চত্বরে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা একদমই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “পুলিশের মিছিলে অনুমতি দেওয়ার কোন রকম এক্তিয়ার নেই। তাই বেশি কথা না বলাই শ্রেয়।”
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, এদিন হাওড়া স্টেশন, পার্ক স্ট্রিট এবং শিয়ালদহ স্টেশন হয়ে ধর্মতলায় এগোবে বাম মিছিল। প্রথমে ভিক্টোরিয়ার সামনে সভাটি করার অনুমতি চাইলেও তা পাওয়া যায়নি। অবশেষে ধর্মতলা চত্বরেই হতে চলেছে তাদের সভা, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই গোলমালের আশঙ্কা প্রকাশ করা থেকে শুরু করে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিজেপির ‘নবান্ন অভিযান’ ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এদিনও কি সেই একই ছবি দেখতে চলেছে বঙ্গবাসী? এ প্রসঙ্গে মিনাক্ষী জানান, “গোটা সিস্টেমের কাছ থেকে আমরা সাধারণ মানুষের জন্য ইনসাফ চাইছি। শিক্ষা থেকে শুরু করে কারখানা এবং কাজের ক্ষেত্র তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। একদিকে যখন ছাত্র যুবরা রাস্তায় দিনের পর দিন বসে দুর্দশার শিকার হয়ে চলেছে, আবার অপরদিকে আনিস, মইদুলদের খুন হতে হয়েছে। এর প্রতিকার চাই। আজ যারা আসবেন, তাদেরকে নিয়েই সভা করব।”
একইসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ সাধারণ মানুষ থেকে বামপন্থী, বঞ্চিত হতাশাগ্রস্ত মানুষ এবং সকল কমরেডরা আসবেন। এক্ষেত্রে পুলিশের অনুমতি দেওয়ার কোনো এক্তিয়ার নেই। তাই বেশি কথা না বলা ভালো। আমাদের সভা হবে। সবাই আসছে। আপনারা দেখুন।”