বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিককালে স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে শুরু করে প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে শাসকদলের। আর এর মাঝে বাংলা জুড়ে একটি সুপারিশ পত্র ভাইরাল হয়, যেখানে সিপিএমের বিরুদ্ধে এক যুবককে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই প্রসঙ্গে বামেদের চেপে ধরার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে শেষপর্যন্ত ব্যর্থ হলো তাদের সকল প্রচেষ্টা। জানা গিয়েছে, ভাইরাল সুপারিশপত্রে যে ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে লেখা হয়, সেই ব্যক্তিটি উক্ত স্থানে কোনওদিন চাকরিই করেননি। ঘটনাটি আসলে কি?
গত শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের বুক থেকে সিপিএমের একটি সুপারিশপত্র ভাইরাল হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে তৎকালীন সিপিএম দলের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে বেআইনিভাবে সরকারি স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার দাবি করা হয়। 2008 সালের 27 শে ডিসেম্বর সেই সুপারিশপত্রে লেখা থাকে, “কমরেড, আমি শ্রী মোহিতলাল হাজরাকে গ্রাম পালজাগুল পোস্ট জাগুল জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর জানি ও চিনি। এবং ও খুব দুস্থ পরিবারের ছেলে। বামপন্থী আন্দোলনের সাথে যুক্ত। একে আপনার কাছে পাঠালাম। ধেড়ুয়া অঞ্চল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গ্রুপ ডি পদে লোক নেওয়া হবে। সেই বিষয়ে যাতে একে নেওয়া যায় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।”
এহেন একটি সুপারিশপত্র ভাইরাল হতেই গোটা বাংলা জুড়ে শুরু হয় চাঞ্চল্য। যদিও যাদের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ, সেই সিপিএম এটিকে ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করে। যদিও এরপরে সিপিএমের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতে তৎপর হয়ে ওঠে শাসকদল। এমনকি যে স্কুলে সুপারিশপত্রটি পৌঁছে গিয়েছে বলে অভিযোগ, সেখানেও পৌঁছে যান ধেড়ুয়ার তৃণমূল উপপ্রধান কাজল সিং।
তবে এর পরেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়ে দেন যে, উক্ত সুপারিশপত্রের যার নাম উল্লেখ করা রয়েছে, সে কোনদিন তাদের স্কুলে কাজ করেননি। ফলে সিপিএমের বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এই প্রসঙ্গে সিপিএম দলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, “বর্তমানে বাংলায় যেভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে শাসকদল, সেখান থেকে সকলের নজর ঘোরানোর জন্য আমাদের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছিল, তবে এই সুপারিশপত্রটি সম্পূর্ণ ভুয়ো।”