বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিনে দিনে ক্রিকেট যত উন্নত হচ্ছে ততোই উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি। একটা সময় ফলাফলের জন্য নির্ভর করতে হতো মাঠের আম্পায়ারদের উপরেই, তারপর ক্রমশ টিভি আম্পায়ার, ইলেকট্রনিক স্কোর বোর্ড নানা প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্রিকেটকে আরও বেশী আধুনিক করে তোলা হয়েছে। আর এখন তো হক আই, স্নিকো মিটার, হট স্পট, স্পাইডার ক্যাম, স্পিড গান, স্টাম্প মাইকের একাধিক প্রযুক্তি দিয়ে সাজানো হয়েছে ক্রিকেটকে। যার জেরে একদিকে যেমন খেলা দেখার আনন্দ বেড়েছে তেমনি ক্রিকেটে এসেছে অনেক বেশি স্বচ্ছতা।
এখন আম্পায়ারের চোখকে ফাঁকি দেওয়া আর কারও পক্ষেই প্রায় সম্ভব নয়। এবার আরেকটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার দেখতে চলেছে ক্রিকেট। এবার বলের ক্ষেত্রেও আসতে চলেছে বড় পরিবর্তন। নতুন এই বলের নাম স্মার্ট বল, কেন এমন নাম সে কথায় পরে আসছি আগে জানিয়ে রাখি, এ ধরনের বল প্রথমবার ব্যবহার শুরু হবে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। কোকাবুরার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বলটি নির্মাণ করেছে স্পোর্টকোর নামক একটি সংস্থা।
আসুন জেনে নেওয়া যাক এই বলের কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যঃ
★ নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে বলটি অন্যান্য সাধারণ বলে থেকে আলাদা, আসলে এর মধ্যে বসানো থাকবে একটি অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক চিপ।
★ এই চিপের সেন্সরের সাথে যুক্ত থাকবে বিশেষ ধরনের ল্যাপটপ, মোবাইল এবং ট্যাব। যার ফলে এবার খুব সহজেই জানা যাবে বলের গতি, স্পিন এবং শক্তি সম্পর্কিত তথ্য।
★সবচেয়ে বড় কথা হল, সাধারণ বলের তুলনায় এটি একটুও বেশি ভারী নয়, এর ব্যবহারও সম্পূর্ণ সাধারণ বলের মতোই।
★ বর্তমানে যে বল ব্যবহার করা হয় ক্রিকেটে তা কার্যত বোলারদের হাত থেকে বল ছাড়ার সময় গতি রেকর্ড করে। কিন্তু বল পিচে পড়ার পর অর্থাৎ আফটার বাউন্স স্পিড নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এবার বড় ভূমিকা নেবে এই স্মার্ট বল। মাত্র পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যেই প্রি বাউন্স এবং আফটার বাউন্স স্পিড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নির্দিষ্ট ল্যাপটপে পাঠিয়ে দেবে এই বল।
শুধু তাই নয় বিশ্লেষকদের মতে এই বল বাজারে এলে মাঠের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও অনেক বেশি সুবিধা হবে। তাই এখন অন্যান্য পেশাদার লিগগুলি এই বলকে আপন করে নেয় কিনা সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।