বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও ‘নন্দকুমার মডেল’ (Nandakumar Model)। যথারীতি এবারও এই মডেলে পিছু হঠল শাসক দল তৃণমূল (TMC)। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের জগৎপুরে শীতল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি দখল করল বিজেপি-সিপিএম (CPM – BJP) জোট। এই জোটের দখলে রইল ৫১টি আসন।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরিখে এই সমবায় নির্বাচন উঠে আসে আলোচনার কেন্দ্রে। বিগত কয়েকদিন ধরেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাধিক সমবায়ের ভোটের ফলাফল উঠে এসেছে সংবাদের শিরোনামে। তর্জা শুরু হয়েছে ‘নন্দকুমার মডেল’ নিয়ে। গত নভেম্বরে নন্দকুমার-বহরমপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনে বাম-বিজেপির জোটের চিত্র প্রকাশ্যে আসে। ‘সমবায় বাঁচাও মঞ্চ’ গড়ে নির্বাচনে অংশ নেয় এই জোট। বিপুল জয়ও পায়। এরপর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক সমবায়ে নির্বাচনে দেখা আলোচনায় রয়েছে নন্দকুমার মডেল।
জানা যাচ্ছে, মহিষাদল ব্লকের বেতকুণ্ডু অঞ্চলের জগৎপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটির নির্বাচনে এই প্রথমবার লড়াইয়ে নেমে ৬২ আসনের মধ্যে মোট ১১ আসনে জয়ী হন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী। তৃণমূল বিরোধী জোট দখল করে বাকি ৫১ আসন। তবে এই পৰথম নয়। তৃণমূল বাদে এই সমবায়ে বরাবরই সমস্ত রাজনৈতিক দল জোট করেই বোর্ড গঠন করে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
জয়ী জোট প্রার্থী প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা এবার তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ড গঠন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তৃণমূলের আপত্তি থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই আমাদের অরাজনৈতিক জোট গড়তে হল।’ এ প্রসঙ্গে মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, ‘এই সমবায়ে এতদিন পরিবারতন্ত্র কায়েম করে রেখেছিল সিপিএম। এখন তাদের অনেকেই বিজেপি হয়েছে। এই বহুরূপী বাম-বিজেপির বিরুদ্ধে ছিল আমাদের লড়াই। আর প্রথমবার লড়াইয়ে নেমে ১১ আসন পেয়েছি আমরা। এটাই অনেক বড় পাওয়া।’
অপরদিকে বিজেপির মহিষাদল মণ্ডল-৩ সভাপতি বৃহস্পতি মাজি বলেন, ‘আমাদের এই জগৎপুর সমবায় সমিতি দীর্ঘদিনের। এই সমিতিকে বাঁচাতে মানুষের জোট হয়েছে। সে বাম, কে ডান জানি না। কিন্তু শাসকদল এখানে একটা লড়াই করেছে, মানুষের কাছ থেকে যোগ্য জবাবও পেয়ে গিয়েছে।’ তবে সিপিএমের সঙ্গে জোটকে মেনে নিতে চাননি বিজেপির অনেক নেতাই। এই জয়ের পর এখনও পর্যন্ত বিজেপির রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বের থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।