বাংলাহান্ট ডেস্ক : বামের সঙ্গে জোট নয়, এমনই দাবি গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে। পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipore) নন্দকুমারে বাম – বিজেপি (BJP) জোটের সমবায় দখলের পরই রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে শুরু হয়েছে নতুন সমীকরণ। কিন্তু এই জোটকে একেবারেই স্বীকৃতি দিতে নারাজ ২ দলের শীর্ষনেতারাই। এই জোটের সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছে বামেরা। এদিকে আবার মঙ্গলবার বিকেলে বামেদের নিশানা করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)।
এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘বামেদের সঙ্গে আমাদের কোনও জোট চলে না। আমাদের কাছে পিএফআই এবং এসএফআই দুটোই সমান। দুটি সংগঠনই চায় ভারত ভেঙে টুকরো হয়ে যাক। আর ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত হোক। সিপিএম কোনও ধোয়া তুলসিপাতা নয়। বড় চোর হচ্ছে বামপন্থীরা। এমনভাবে চুরি করে পকেটমারের মতো। পকেট কেটে নেবে কিন্তু আপনি বুঝতে পারবেন না। আর তৃণমূলেরগুলো অশিক্ষিত চোর। সবার সামনেই চুরি করে ওরা।’
প্রসঙ্গত, গত সোমবার নন্দকুমারের বহরমপুর সমবায় একতরফাভাবে দখল করে বাম – বিজেপি জোট। ৬৩টি আসনের মধ্যে ৫২টিতে প্রার্থীই দিতে পারেনি তৃণমূল। যে ১১টি আসনে ভোট হয়েছে সেগুলিও দখল করে জোট। এর পরই রাজ্যে তৃণমূলকে আটকাতে বাম – বিজেপি জোট নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। কিন্তু সিপিএমের তরফ থেলে পরিস্কার জানানো হয়, সমবায় নির্বাচনে দলের টিকিটে কেউ লড়াই করেননি। লড়েছে সমবায় বাঁচাও মঞ্চের নেতৃত্বে প্রগতিশীল জোট।
সম্প্রতি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন সভা থেকে বারবার বলেছেন, সমস্ত হিন্দু ভোট পড়বে এক জায়গায়। আর মুসলিমরা তৃণমূলকে ভোট দেবে না। এই সমীকরণেই ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা করছেন তিনি। বহরমপুর সমবায় দখলে সেই সুত্রেই পরীক্ষা হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।