বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা ভোটে বিপর্যস্ত বাম শিবির। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাম আর কংগ্রেস এরাজ্যে একটিও আসন পেল না। এই নিয়ে যখন দলের অন্দরে মন্থন চলছে, তখন দলের একের পর এক প্রবীণ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর দল আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট করা নিয়ে মুখ খুলছেন। সিপিএমের প্রবীণ নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য দিয়ে শুরু হওয়া এই সমালোচনা কান্তি গাঙ্গুলির পর অশোক ভট্টাচার্যের মুখেও শোনা গেল।
শিলিগুড়ি কেন্দ্রে এবার হারের মুখ দেখতে হয়েছে বর্ষীয়ান বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্যকে। আর তিনি হারের জন্য আইএসএফ-এর সঙ্গে জোটকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। দোসরা মে রাজ্যের বিধানসভার ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে একের পর এক ঢেউ আছড়ে পড়ছে আলিমুদ্দিনে। উত্তর দমদম কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যের পর রায়দিঘি কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী কান্তি গাঙ্গুলিও দলের হার নিয়ে সমালোচনা করেছেন। এমনকি তিনি একধাপ এগিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করারও ওকালতি করেছেন।
এবার দক্ষিণবঙ্গ থেকে ওঠা বিক্ষোভের আঁচ উত্তরবঙ্গেও উঠেছে। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের জাত-কূল দুইই গেছে। অনেকেই বলছে ISF-এর সঙ্গে জোট করার জন্য হিন্দু ভোট বামেদের থেকে সরে গিয়েছে, শিলিগুড়িতে এটা হওয়া সম্ভব। কিন্তু পাশের চোপড়া কেন্দ্রে তো সংখ্যালঘু ভোটও আমাদের ঝুলিতে পড়েনি। পুরোটাই তৃণমূলের খাতায় চলে গিয়েছে।”
অশোক ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার জানান যে, তিনি আর নির্বাচনে লড়বেন না। তিনি আরও বলেন, ‘আমার কি দোষ ছিল? আমি কি নিজের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করিনি? যারা ভোট দেব বলেছিলেন, তাঁরা দিলেন না কেন? আমি নিজের সেরাটা দিয়েছি। তবুও আমি আর আমার দল হেরে গিয়েছে। আমি এবার নির্বাচনে দাঁড়াতে চাইনি। দল আমাকে জোর করে নামিয়েছিল।”