বাংলাহান্ট ডেস্ক : হঠাৎ করেই অচেনা নাম কিংবা নাম্বার থেকে ভিডিও কল মোবাইলে। কলটি রিসিভ করার পরই ফোনের স্ক্রিনে ফুটে উঠবে কোনও মহিলার নগ্ন দেহ। এর কয়েক সেকেন্ড পর থেকেই ওই ভিডিও কলের স্ক্রিনশট দেখিয়ে চলবে ব্ল্যাকমেল। এভাবেই মানুষের টাকা হাতাতে সাইবার ক্রাইমের নিত্য নতুন উপায় খুঁজে বের করছে অপরাধীরা। অজ্ঞাত এই ভিডিও কলের ফাঁদে পড়ে সম্মান হারানোর ভয়ে টাকা দিয়েই দিচ্ছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে শুরু করেছে পুলিশ। এবার ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটল চন্দননগরের এক সিপিএম নেতার সঙ্গে৷
জানা যাচ্ছে রবিবার নাগাদ একটি মিটিং এ ব্যস্ত ছিলেন যুব সিপিএম নেতা গোপাল শুক্লা। ঠিক সেই সময়েই পায়েল রেড্ডি নামের এক মহিলার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কল আসে তাঁর মেসেঞ্জারে। কয়েক সেকেন্ড এক মহিলার নগ্ন ছবি এবং ভিডিও দেখানো হয় গোপালকে৷ তার ঠিক পরেই শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল। ওই চ্যাটের কয়েকটি স্ক্রিনশট তুলে তা স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে সামাজিক সুনাম নষ্ট করার ভয়ও দেখানো হয় যুবনেতাকে। কিন্তু ভয় পাওয়া তো দূর, একটি টাকাও না দিয়ে পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানান সিপিএম নেতা।
প্রথমে চন্দননগর থানায় এরপর চুঁচুড়ার চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানায় তিনি সোমবার রাতেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুরো বিষয়টির প্রেক্ষিতে ওই নেতা জানিয়েছেন৷ ‘সেদিন অচেনা একটি ভিডিও কল রিসিভ করার পরই যত সমস্যা। পায়েল রেড্ডি নামের একজনের অ্যাকাউন্ট থেকে কল আসে আমার কাছে। প্রথমে আমাকে মহিলার নগ্ন ছবি দেখানো হয়। তারপর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আমি কেটে দিই কলটি। এরপরই মেসেজ এবং কলের মাধ্যমে শুরু হয় ব্ল্যাকমেল। আমি এই ব্যাপারটি আগে থেকেই জানতাম বলে পাত্তা না দিয়ে সোজা চন্দননগর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করি।’ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে সাইবার পুলিশ।
উল্লেখ্য, চন্দননগরেরই বাসিন্দা গোপাল শুক্লা। আগে ডিওয়াইএফআই তে থাকলেও বর্তমানে সিপিএম নেতা তিনি। এবার পুরোভোটে চন্দননগর পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের তরফে প্রার্থীও হয়েছিলেন। থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি ঘটনাটি নিয়ে স্যোশাল মিডিয়াতেও সরব হয়েছেন গোপাল। সেখানেই বন্ধুবান্ধবদের সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি বিষয়টি সম্পর্কে।