বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল হয়েছে। বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল ‘শাসন’। বাংলায় মমতা-অধ্যায় শুরু হওয়ার পর এই প্রথম নবান্নে (Nabanna) যাচ্ছেন মহম্মদ সেলিম। সম্প্রতি নিজে মুখেই সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক।
আচমকা কেন নবান্নে (Nabanna) যাচ্ছেন মহম্মদ সেলিম?
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে বাম নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেখানে তাঁকে নবান্নে যাওয়া প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হতেই তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নেন। সিপিএমের (CPM) রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি এই প্রথমবার নবান্নে পা রাখতে চলেছি’। আচমকা কেন তিনি নবান্নে যাচ্ছেন সেটাও ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে নবান্ন সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যে ফিন্যান্স কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল এসেছে। মঙ্গলবার বাংলার নানান রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে নবান্নে তাঁদের একটি বৈঠক করার কথা আছে। সেই বৈঠকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে (Md Salim)। সেই কারণেই আজ নবান্নে যাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ধর্ষণে অভিযুক্তের নিজেকে নির্দোষ দাবি! প্রমাণ করতে পিতৃত্ব পরীক্ষার নির্দেশ হাইকোর্টের
আজ নবান্নে হতে চলা এই বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) উপস্থিত থাকবেন। ফলে এই প্রথমবার নবান্নে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হবে মমতা-সেলিমের। দু’জনের মধ্যে কী কথা হয় সেদিকেও নজর থাকবে অনেকের।
অন্যদিকে উক্ত সংবাদমাধ্যমের কাছে নবান্নে (Nabanna) যাওয়া প্রসঙ্গে কথা বলার সময় সেলিম বলেন, বাম জমানায় যখন ওই বিল্ডিং তৈরি হচ্ছিল, সেই সময় একবার গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন হাওড়ার সিপিএম নেতা তথা সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন সাংসদ স্বদেশ চক্রবর্তী। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেই সময় রাজ্যের সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বলেন, ‘ভবন তৈরি হওয়ার সময় একবার ওখানে গিয়েছিলাম। এরপর এই প্রথমবার ওখানে যাব’। আজ ফিনান্স কমিশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের আগে কিংবা পরে মমতা-সেলিমের মধ্যে কোনও কথা হয় কিনা সেটাই দেখার।