‘তৃণমূল-বিজেপির বাপ ঠাকুরদাও জানে সুশান্ত ঘোষ কে” বলা বামেদের পোস্টার বয়-এর লজ্জাজনক হার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল (All India trinamool congress) ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ছটি মামলা হয়েছিল। সবকটি মামলার মধ্যে প্রধান মামলা ছিল বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ড। কয়েক বছর জেলেও কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। তিনি হলেন সিপিএম-এর (Cpim) পোস্টার বয় তথা দাপুটে নেতা এবং একুশের নির্বাচনে শালবনির প্রার্থী সুশান্ত ঘোষ (Susanta Ghosh)। ৬ ডিসেম্বর ২০২০ সালে আইনি বাধা কাটিয়ে নিজের এলাকায় প্রবেশ করার অনুমতি পেয়েছিলেন সুশান্ত। উনি এলাকায় ঢোকা মাত্রই এলাকাবাসীরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠেছিল। এলাকার বাসিন্দারা এটা বুঝিয়ে দিয়েছিল যে, কঙ্কাল কাণ্ড হোক আর অন্য কাণ্ড। তাঁরা সুশান্ত ঘোষের পাশেই আছে।

susant ghosh

এরপর বামেরা সুশান্ত ঘোষকে প্রার্থীও করে। গোটা শালবনি এলাকা এবং পাশের গড়বেতা বিধানসভা কেন্দ্রেও দাপিয়ে প্রচার করে বেরায় সুশান্ত ঘোষ। ওনার প্রত্যাবর্তনে স্থানীয় মানুষদের পাশাপাশি শীর্ষ বাম নেতৃত্ব এবং কর্মীদের মধ্যে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় জুড়ে সুশান্ত ঘোষকে নিয়ে জোরদার প্রচারে নামে বাম কর্মী-সমর্থকরা। একসময় সুশান্ত ঘোষের এহেন জনপ্রিয়তা দেখে মনে হচ্ছিল যে, তিনি জিতেই যাবেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

cpim candidate sushanta ghosh in shanbani 16163293036

কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, শালবনি কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী শ্রীকান্ত মাহাত পেয়েছেন ১ লক্ষ ২৬ হাজার ২০টি ভোট। ওনার নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী রাজীব কুণ্ডু পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৩৭৬টি ভোট। ওই কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী সুশান ঘোষ পেয়েছেন মাত্র ১৯ হাজার ৮৫৯টি ভোট। সুশান্তবাবু মোট ৭.৯৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, যা সবার জন্যই চিন্তার বিষয়।

susant ghosh 1

ভোট প্রচারে বেরিয়ে শালবনির ভালুকশোল গ্রামে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার সময় সুশান্ত ঘোষ বলেছিলেন, ‘মাওবাদীরাও জানে, তৃণমূলের বাপ-ঠাকুরদাও জানে, বিজেপির বাপ-ঠাকুরদাও জানে সুশান্ত ঘোষ কে।” তিনি এও বলেছিলেন যে, দলীয় কর্মীদের কেউ ভয় দেখালে তিনি তাঁদের পা ভেঙে দিয়ে নিজেই চিকিৎসা করাবেন। দলীয় কর্মী এবং স্থানীয়দের ত্রাতা হয়ে ওথা সুশান্ত ঘোষের এই লজ্জাজনক হারে সবার মুখেই হতাশার ছাপ।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর