‘জীবন যাপন নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে’, CPM জেলা নেতৃত্বের তোপের মুখে শতরূপ! নৈতিক জয় কুণালের?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২২ লাখের গাড়ি! সেই প্রসঙ্গ এত জলদি শেষ হওয়ার নয়। এবার সিপিএমের (CPM) রাজ্য কমিটির বৈঠকে সমালোচনাড় ঝড় উঠল তরুণ নেতা শতরূপ ঘোষকে (Satarup Ghosh) নিয়ে। বর্ধমান ও হাওড়া জেলার নেতাদের তোপের মুখে শতরূপ। তবে নাম নিয়ে নয়, নাম না করেই তার সমালোচনায় সরব দলের নেতারা।

সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই জেলার নেতাদের তরফে দলের নেতাদের জীবন যাপন সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘ভালো বক্তা মানেই সংবাদমাধ্যমকে ডিল করতে পারবেন এমনটা নয়। তাদের জীবন যাপন নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’ একদিকে এখনও জ্বলন্ত শতরূপের বাইশলখি গাড়ি বিতর্ক। এরই মধ্যে দলেরই নেতাদের এহেন মন্তব্য শতরূপকে লক্ষ্য করেই বলা হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ শতরূপের ২২ লাখের গাড়ি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। টুইট করে কুণাল বলেন, ‘‌২০২১ সালের নির্বাচনী হলফনামায় শতরূপের সম্পত্তির হিসেব ২ লাখ টাকা। সেই শতরূপ কেমন করে ২২ লাখ টাকার গাড়ি কিনলেন? এক লপ্তেই সেই গাড়ির দাম মিটিয়েছেন তিনি।’‌ সিপিএমের একজন হোলটাইমার কীভাবে এত দামি একটি গাড়ি কিনলেন? লোন নিলে সেটাই বা কিভাবে পেলেন এই নিয়েই প্রশ্ন তোলেন কুণাল ঘোষ।

satarup ghosh

কুণালের এই মন্তব্যের পরই শতরূপ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘মা আর নেই। বাবা বেঁচে রয়েছেন। তারা সারা জীবন চাকরি করেছেন। আমি তাদের একমাত্র সন্তান। একটি চেকের মাধ্য়মে আমার অ্যাকাউন্ট থেকে ২.৫ লাখ টাকা চেকে পেমেন্ট করা হয়। এর পাশাপাশি বাবার অ্য়াকাউন্ট থেকে চেকের মাধ্যমে ১৮ লাখ ১ হাজার টাকা মেটানো হয় গাড়ি কেনার জন্য। আর ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা নগদে পেমেন্ট করা হয়।’

এরপর কুণালকে নজিরবিহীন আক্রমণ করে শতরূপ বলেন, আমি বাবার টাকায় গাড়ি চড়ি। আর কুণাল ঘোষ দিদির টাকায় প্রিজন ভ্যানে চড়েন। আমি তো কিছু বলিনি। এখন কেউ এমন সমালোচনা করতে পারেন যে আমার বাবা আমাকে গাড়ি কিনে না দিয়ে আমাকে একটা চাকরি কিনে দিতে পারতেন। তাতে কুণাল ঘোষেরও কিছু আয় হতো। শুধু তাই নয় কুণালকে টেস্টটিউব বেবি বলেও কটাক্ষ করেন শতরূপ। পরে অবশ্য এই নিয়ে তিনি ক্ষমাও চেয়ে নেন। এই নিয়েই চলছিল রাজনৈতিক তরজা। আর এবার সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে উঠল শতরূপ প্রসঙ্গ।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর