Bangla Hunt Desk: ‘এযেন নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারা’, নিজের দলের বিরুদ্ধেই বই লিখলেন প্রাক্তন সিপিএম (Communist Party of India) বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ (Susanta Ghosh)। গড়বেতার প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের নামে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। সেইসঙ্গে দলের গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গ ও উপদলীয় কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে তিনমাসের জন্য সাসাপেন্ড করা হল দল থেকে।
আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের লেখা বইতে দলবিরোধী কথা এবং হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির উল্লেখ রয়েছে। সেই কারণেই তাঁকে তিনমাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।
‘বামফ্রন্ট জমানার শেষ দশ বছর’
বামফ্রন্টের জামানায় গড়বেতায় রাজ করতেন সুশান্ত ঘোষ। তাঁর ক্ষমতায় তিনিই রাজা ছিলেন। কিন্তু সেই ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে জেলে যেতে হয় তাঁকে। তবে জেল থেকে ফিরে দলের সঙ্গে আর যেভাবে যোগাযোগ ছিল না সুশান্ত ঘোষের। নিজের খেয়ালেই ‘বামফ্রন্ট জমানার শেষ দশ বছর’ নামক একটি বই লেখেন তিনি। আর এই বই লিখেই যত বিপত্তি।
তদন্তের নিরিখে গঠিত হয় কমিশন
সুশান্ত ঘোষের লেখা বইতে সিপিএম বিরোধী নানারকম কর্মকান্ডের বিষয় উঠে আসে। দলের অবমাননা এবং সর্বোপরি দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে বহিস্কারের দাবী করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটি। রাজ্য কমিটির কাছে এই প্রস্তাব আসায়, কেন্দ্রীয় কমিটির দুই সদস্য আভাস রায়চৌধুরি এবং রামচন্দ্র ডোমকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। গঠিত কমিশন তদন্ত করে সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করে তাঁকে দোষী হিসাবে পেশ করে। তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই ৩ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয় সুশান্ত ঘোষকে।
এবিষয়ে সুশান্ত ঘোষ বলেছেন, “দল এখনও আমাকে কিছু জানাইনি। তবে পার্টির আদর্শই আমার কাছে চূড়ান্ত।” এরকম দোষ করার পরও সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে দলীয় নেতারা এর থেকে বেশি কোন পদক্ষেপ নিলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, দলে তাঁর ভাবমূর্তির কথা ভেবেই হয়ত বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা বেশি কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারেননি।