বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। কিছুদিনের অপেক্ষা মাত্র। ইতিমধ্যেই ভোট প্রস্তুতিতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসক সহ বিরোধী দলগুলি। জোর কদমে চলছে তোড়জোড়।
ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত ভোটে নিচুতলায় বিজেপির (BJP)সঙ্গে সমঝোতা করলে দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাম শিবির (CPM), সাথেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তাও দিয়েছে সিপিএম। এরই মধ্যে শাসক দল তৃণমূলকে (TMC) ঠেকাতে এবার প্রকাশ্যে এসেছে বিজেপির সঙ্গে বামপন্থীদের সমঝোতার তত্ত্ব। সূত্রের খবর, ঘাসফুলকে দমাতে নিচুতলায় বিজেপির সাথে জোট বেঁধে মাঠে নামতেই আগ্রহী স্থানীয় নেতা-কর্মীদের একটা বড় অংশ।
কিছুদিন আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য দল কতটা প্রস্তুত, তা নিয়ে সিপিএম এর রাজ্য নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট পেশ করে জেলার নেতৃত্ব। সেই রিপোর্টেই বেশ কয়েক জেলার নেতারা জানান, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে নীচুতলায় ‘মহাজোটের’ আশঙ্কা রয়েছে। অর্থাৎ, শাসক দলকে হারাতে মরিয়া হয়ে বিজেপির সঙ্গে ‘অঘোষিত’ জোটের পথে হাঁটতে পারে নীচু তলার নেতা কর্মীরা।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, “নিচুতলার বিষয়টা আলাদা। অফিসিয়ালি আমরা জোটের কথা বলিনি।” অর্থাৎ পরিষ্কার করে না বললেও এর থেকেই ইঙ্গিত পাওয়া যায় নিচুতলায় বামেদের সঙ্গে গোপন সমঝোতায় আপত্তি নেই বিজেপির শীর্ষনেতাদের।
এর পেছনে যথাযত কারনও আছে বইকি! পঞ্চায়েতের অধিকাংশ বুথেই গেরুয়া বাহিনীর সংগঠন নেই। ফলে সেখানে তৃণমূলকে আটকাতে বামেদের হাত ধরার ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি নেই বিজেপির জেলা নেতাদেরও। বামেদের হারিয়ে যাওয়া ভোট ব্যাংক আগামীদিনে ফেরানো সম্ভব হবে কিনা, পাশাপাশি বুথে গুলোতে কতটা সংগঠন গড়ে তোলা সম্ভব হবে সেটা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
এসমস্ত আশঙ্কার মধ্যে দলীয় সূত্র মারফত খবর, গোটা রাজ্যজুড়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে প্রায় ১৫টিরও বেশি জেলায় নিচুতলার সাংগঠনিক শক্তি খুবই দুর্বল। ফলে কার্যতই যেসব স্থানে সংগঠন দুর্বল সেখানে নিচুতলায় বিজেপি-সিপিএম জোট হতেই পারে। তা হয়তো প্রত্যক্ষভাবে নয়তো পরোক্ষভাবে। আর এই নিয়েই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে আলিমুদ্দিন।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা