বাংলা হান্ট ডেস্ক : পার্টির জন্মলগ্ন থেকে একটাই মন্ত্র ছিল আর তা হলেও কংগ্রেসের বিরোধিতা করা। যদিও এর পর কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক কী হবে? এই প্রশ্ন নিয়ে পার্টি ভাগ হয়েছে। যদিও দলের মূল মন্ত্র একটাই ছিল কিন্তু কমিউনিস্ট সিপিএম এবং সিপিআই এম এই তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে যায়, বৃহস্পতিবার কমিউনিস্ট পার্টির শততম জন্মদিন পালন হল, যদিও সে দিন সিপিএমের সঙ্গে হাত মেলানোর কথা ছিল কিন্তু তা যেন দায়সারা ভাবেই হল।
ভারতে কমিউনিস্ট পার্টির জন্ম তাসখন্দে, 1920 খ্রিস্টাব্দে এমনটাই মনে করে সিপিএম। তাই তো বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে পালিত হল। কিন্তু এই এক শ বছরেও দলের অন্দরের বন্ধ কিন্তু কাটল না, যে কংগ্রেসের সম্পর্ক নিয়ে বার বার পার্টি ভাগ হয়েছে দলের জন্মশতবর্ষে সেই কংগ্রেসকে নিয়েই চলার কথা বলছে সিপিএম। অন্তত সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য এমনটাই বলছে। দলে যে আসবেন তাঁকে স্বাগত, অর্থাত্ মনে করা হচ্ছে বিরোধী দলকে চাপে ফেলতে কংগ্রেসের সঙ্গেও হাত মেলাতে পিছপা হচ্ছে না সিপিএম।
যদিও এই ধারণা নতুন কিছু নয় কারণ এর আগেই কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের জোট নিয়ে রাজ্য রাজনৈতিক অন্দরে ব্যাপক গুঞ্জনের পারদ চড়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের আগেও বামফ্রন্টের শরিক দল মুখে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধার একটা পরিকল্পনার কথাও শোনা গিয়েছিল। তাই তো সম্প্রতি কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতারা দু তরফের কার্যালয়েও গিয়ে পৌঁছেছিলেন। রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে বিরোধিতা করা একমাত্র লক্ষ্য ছিল সিপিএমের কিন্তু এখন কেন্দ্রে মাথা ছাড়া দিয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপি
তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্যেও তাই তো অস্তিত্বের লড়াই করার জন্য সিপিএম এ বার কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে চাইছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। তবে বিধানসভা নির্বাচনে কী হবে? এমন প্রশ্ন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মাথায় ঘোরাফেরা করলেও, শত বছরেও যে পার্টির লাইন ঠিক হল না তা কিন্তু একেবারেই স্পষ্ট।