বাংলা হান্ট ডেস্ক : কী থেকে যে কী হয়ে যায় তা বোঝা বড়ই দায়! ২০১৮ সাল পর্যন্ত যে দলটা ত্রিপুরা (Tripura) শাসন করত, সেই দলটাই যেন হঠাৎ করেই হারিয়ে যেতে বসেছে গত পাঁচ বছরে। ঠিক বাংলায় সিপিএম (CPM) যেভাবে শূণ্যতে নেমে এসেছে, ত্রিপুরাতেও যেন সেই চিত্রই দেখা যাবে খুব তাড়াতাড়ি।
২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শাসন ক্ষমতা হাত থেকে চলে যাওয়ার পর গত পাঁচ বছর ত্রিপুরায় প্রধান বিরোধী দল ছিল সিপিএম। প্রতিমুহুর্তে তারা বিজেপির সমালোচনা করে গেছে। বিরোধী দলনেতা ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তাঁর অভিজ্ঞতার সামনে বিপ্লব দেব সেদিনের শিশু বই বেশি কিছু নয়। এবারের বিধানসভার আগে লাল পার্টি গানও বেঁধে ফেলে আবার ত্রিপুরায় সিপিম আসছে বলে। লম্ফঝম্ফ ই সার! ক্ষমতায় তো এলোই না, উলটে সিপিএমে এবার এই ভয় কাজ করছে যে, তারা এবার বিরোধী দলের মর্যাদাই না হারিয়ে ফেলে।
ত্রিপুরায় মোট আসন সংখ্যা ৬০টি। বিজেপি-আইপিএফটি জিতেছে ৩৩টি আসনে। বাম-কংগ্রেস মিলে পেয়েছে ১৪টি আসন। তিপ্রা মথা পেয়েছে ১৩টি আসন। বাম-কংগ্রেস মিলিয়ে ১৪টি আসন পেয়েছে। কিন্তু এখানেও রয়েছে গেরো। এর ১৪টি আসনের মধ্যে সিপিএম ১১ এবং কংগ্রেস ৩টি আসন জিতেছ।
এই মুহুর্তে তিপ্রা মথা একক বৃহত্তম বিরোধী দল। যদিও তারা এখনও জানায়নি তারা সরকারে যোগ দেবে না বিরোধী আসনে বসবে। এর মধ্যে সিপিএম-কংগ্রেস আনুষ্ঠানিক ভাবে জোট করেনি। নির্বাচন কমিশনে তাদের সমীকরণ আসন সমঝোতা হিসাবে নথিবদ্ধ করেছে। ফলে জোট ঘোষণা করলে যে সুযোগ সিপিএম-কংগ্রেস পেতে পারত সেই সুযোগ কিন্তু নেই। এবার তিপ্রা মথা যদি বিরোধী বেঞ্চে বসতে না চায় তাহলে সিপিএম ত্রিপুরায় বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে পারে। কিন্তু যদি তিপ্রা মথা সরকারে যোগ না দেয় তাহলে মুখ শুকনো করেই বিধানসভায় জেতে হবে সিপিএম বিধায়কদের।
তবে, বাম-কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি মথাকেই ছদ্ম বিরোধী হিসাবে রেখে দিতে চায়। যা পরিস্থিতি তাতে অস্তিত্ব সংকটে পড়ে গিয়েছে ত্রিপুরার সিপিএম। দশরথ দেব ভবনে এই বিষয়ে গুরুগিরি আলোচনাও হয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর। আপাতত তিপ্রা মথার দিকেই তাকিয়ে থাকছে হচ্ছে সিপিএমকে।