বাংলা হান্ট ডেস্ক : আর কিছু দিন পরই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তার আগেই জোর ধাক্কা খেল রাজ্যের শাসক ও প্রধান বিরোধী দল। হুগলির (Hooghly) সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিজেপি (BJP) ও তৃণমূল (TMC) শিবিরকে কার্যত ধুয়ে দিল বামেরা। রবিবার ছিল হুগলি জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের অধীন হুগলি ডিস্ট্রিক্ট সেটেলমেন্ট এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভ সোসাইটির বোর্ড অব ডিরেক্টরের নির্বাচন। সেই নির্বাচনে পদ্ম ও জোড়াফুল শিবিরকে প্রায় উড়িয়ে দিল সিপিএম (CPM)।
নির্বাচনে যৌথ বাম প্রার্থীর তৃণমূল কংগ্রেস ইউনিয়নের প্রার্থীদের বিপুল ভোটে পরাজিত করেন। মোট ১২টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই জয়ী হয় বামেরা। একটিও আসন পেল না শাসকদল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই পরাজয়কে শাসকদলের পক্ষে একটা বিরাট ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
বাম প্রার্থীদের দাবি, ডিএ আন্দোলনকারীদের যে ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ করেছেন তাকে ভালো চোখে দেখছে না মানুষজন। তাছাড়া তিনি আরও বলেছেন, ২০১১ সালের আগে যারা চাকরি পেয়েছেন তারা তা পেয়ছেন চিরকুটের মাধ্যমে। সাধারণ মানুষ পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। এই সরকারি কর্মচারীচাই দুয়ারে সরকার, কন্যাশ্রীতে কাজ করে। তাদেরই আপত্তিকর ভাষায় আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জয় নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির হুগলি জেলা সম্পাদক সুশান্ত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আমাদের আজকের এই নির্বাচনের জয় সমস্ত কর্মচারীদের জয়। আগের বোর্ডের সম্বন্ধে তৃণমূল বহু মিথ্যা অপপ্রচার করেছে তার পর ও কর্মচারীরা আমাদের ভোট দিয়েছেন। ২০১৭ সালে তৃণমূল এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সন্ত্রাস সৃষ্টি করে। তখনও আমরা ১২ টি আসনে জয় লাভ করেছিলাম।’
সুশান্তবাবু আরও বলেন, ‘আমরা আশাবাদী ছিলাম এই বছর ও আমরা ১২টি আসনে জিতবো। আমাদের ১২ জন জয়ী সদস্য আগামী দিনে শ্রমিক দের জন্য কাজ করবে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট আর তার আগে এই জয় বাড়তি অক্সিজেন যোগাবে বামেদের।’