বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিত্যদিন শহরতলি থেকে হাজার হাজার মানুষ হাওড়া স্টেশনে (Howrah Railway Station) আসেন। কাউকে পড়াশোনা, কাউকে আবার কাজের সূত্রে আসতে হয় এখানে। এবার দিনেদুপুরে সেই হাওড়া স্টেশনেই (Howrah Station) ঘটে গেল এক মারাত্মক ঘটনা। কুপিয়ে খুন করা হল এক মহিলাকে! অভিযুক্তকে ধরতে গেলে ছুরি তুলে রীতিমতো ভয় দেখাতে থাকেন তিনি। কোনও মতে ধরা হয় তাঁকে।
দিনের বেলায় হাওড়া স্টেশনের মতো জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে আহত রিভু বিশ্বাসকে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। অভিযুক্ত বালেশ্বরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)। উদ্ধার হয়েছে রক্তমাখা ছুরিটিও
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বনগাঁ ঠাকুরনগর নিবাসী পিন্টু বিশ্বাস তাঁর স্ত্রী রিভু বিশ্বাস এবং সন্তানদের নিয়ে হাওড়া স্টেশনে এসেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের পরিচিত বালেশ্বর যাদব। জানা যাচ্ছে, এই বালেশ্বরেরই মুম্বই যাওয়ার কথা ছিল। তাঁকে ছাড়ার জন্য সপরিপারে পিন্টু স্টেশনে এসেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ অসুস্থ শরীরেই হাই কোর্টে হাজির মুকুল রায়, হঠাৎ কেন আদালতে ছুটলেন প্রবীণ নেতা?
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, হাওড়া স্টেশনের ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পার্সেল বিভাগের পাশে সকলে মিলে একসঙ্গে চা খান। সেই সময় বালেশ্বর জানান, তাঁর মাথা যন্ত্রণা করছে। একথা শুনে পিন্টু তাঁর জন্য ওষুধ কিনতে চলে যান। সেই সময়ই ব্যাগের ভেতর থেকে ছুরি বের করে রিভুর ওপর আক্রমণ (Knife Attack) করেন বালেশ্বর।
জানা যাচ্ছে, ছুরি দিয়ে রিভুর পেটে আঘাত করা হয়। যন্ত্রণায় চিৎকার করে ওঠেন তিনি। সেই চিৎকার শুনে সেখান উপস্থিত হন অন্যান্য যাত্রী এবং আরপিএফ। এরপর বালেশ্বরকে ধরতে গেলে তিনি ছুরি তুলে সবাইকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ অবধি তাঁর হাত থেকে ছুরি পড়ে গেলে তাঁকে পাকড়াও করা হয়।
সঙ্গে সঙ্গে বালেশ্বরকে গ্রেফতার করে আরপিএফ। উদ্ধার হয় সেই রক্তমাখা ছুরিটিও। এরপর গোলাবাড়ি থানার (Golabari Police Station) হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁকে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পিন্টু এবং বালেশ্বর দু’জনেই মুম্বইয়ে একই হোটেলে কাজ করতেন। সেখান থেকে দু’জনের আলাপ। পিন্টু অবশ্য একা নয়, সম্পূর্ণ পরিবার নিয়েই মুম্বইয়ে থাকতেন। এই খুনের নেপথ্যে প্রেম জড়িত কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ।