বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি নিজের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে নিয়ে একটি বিতর্কিত সাক্ষাৎকার দিয়ে শিরোনামে এসেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তারকা ফুটবলার আপাতত ব্যস্ত রয়েছে নিজের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নিয়ে। পেটের সমস্যার কারণে তিনি পর্তুগাল বনাম নাইজেরিয়া প্রস্তুতি ম্যাচটিতে নামতে পারেননি। সেই ম্যাচে অবশ্য ব্রুনো ফার্নান্দেজের জোড়া গোলে ভর করে ৪-০ ফলে জয় পেয়েছে পর্তুগিজরা।
এই সাক্ষাৎকারটি যিনি নিয়েছেন, সেই ইংরেজ জার্নালিস্ট পিয়ার্স মর্গ্যান বুধ এবং বৃহস্পতিবার, দুই ভাগে বিভক্ত করে গোটা সাক্ষাৎকারটি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন। সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হওয়ার আগেই পিয়ার্স ইঙ্গিত করেছিলেন যে রোনাল্ডো, তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসিকে নিয়ে এমন কিছু মন্তব্য করেছেন যা শিরোনামে জায়গা করে নেবে।
এই শুনে রোনাল্ডো ভক্তরা একটু আশঙ্কাতেই ছিলেন। ইতিমধ্যেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সম্পর্কে তিনি এমন কিছু মন্তব্য করেছিলেন যা বিতর্কর জন্ম দিয়েছিল। মেসি সম্পর্কে এমন বিতর্কিত মন্তব্য ক্রিস্টিয়ানো করেছেন কিনা সেই নিয়ে তারা আশঙ্কায় ছিলেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত পিয়ার্স মর্গ্যানের নেওয়া সাক্ষাৎকারের সেই শেষ অংশটুকুতে প্রকাশ্যে এলো মেসিকে নিয়ে রোনাল্ডোর ভাবনা।
রোনাল্ডো বরাবরই নিজেকে বিশ্বের সেরা ফুটবলার মনে করে আসেন। তিনি যখন থেকে খেলা শুরু করেছিলেন তখন থেকেই তার এমন ধারণা ছিল। রোনাল্ডোর বিশ্বাস তিনি নিজেই যদি নিজেকে সেরা না মানতে পারেন তাহলে মাঠে নেমে সেরা পারফরম্যান্স করা তার পক্ষে সম্ভব হবে না। এই কথা মনে করি এই পিয়ার্স মর্গ্যান তার কাছে জানতে চান নিজেকে বাদ দিলে মেসি কি তার দেখা সেরা ফুটবলার?
সেই প্রশ্নের জবাবে রোনাল্ডো বলেছেন, “হ্যাঁ, জিদানের পাশাপাশি আমার মেসিকেই মনে হয় সেরা। ওর ফুটবল দিয়ে আলাদা করে আর কি বলবো। ও যেন সবসময় মাঠে ম্যাজিক দেখাতে নামে। আমরা ১৬ বছর ধরে সেরার মঞ্চে জায়গা অধিকার করে এসেছি। আমরা এমন বন্ধু নই যারা ফোনে কথা বলে বা একে অপরের বাড়িতে এসে সময়ে ভাগ করে দেয়। কিন্তু আমি ওকে খুবই সম্মান করি। সব সময় ওকে আমার সম্পর্কে ভালো কথা বলতেই শুনেছি। ভবিষ্যতে ওর সাথে একসঙ্গে ডিনার করার সুযোগ পেলে সেটা হাতছাড়া করবো না।” মরবেন তার কাছে আরো প্রশ্ন রাখেন, “যদি বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা এবং পর্তুগালের দেখা হয় এবং মেসি ও রোনাল্ডো দুজনেই দুটি করে গোল করে থাকেন এবং ৯৪ মিনিটে আপনি গোল করে নিজের দেশকে বিশ্বকাপ এনে দেন তাহলে আপনার কেমন লাগবে?” জবাবের রোনাল্ডো বলেন এটা অত্যন্ত বেশি সুখের কল্পনা যা আমি করতে চাই না। তবে ম্যাচ যদি এমন পরিস্থিতিরা পৌঁছয় তাহলে যেই গোল করুক তা কেন পর্তুগাল জিতলেই আমি আনন্দিত হবো।